বন্দিদের মৃতদেহ পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ অস্বীকার করলো সিরীয় সরকার

স্যাটেলাইটে ধারণকৃত ছবিতে সেডনায়া কারাগারসিরিয়ার সামরিক কারাগারে স্থাপিত চুল্লিতে লাশ পুড়িয়ে বন্দি হত্যার তথ্য গোপনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে দেশটির সরকার। মঙ্গলবার (১৬ মে) এক বিবৃতিতে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ অভিযোগ বাস্তবতা বিবর্জিত। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স খবরটি জানিয়েছে।

সোমবার (১৫ মে) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যুরো অফ নিয়ার ইস্টার্ন অ্যাফেয়ার্সের ভারপ্রাপ্ত সহকারী মন্ত্রী স্টুয়ার্ট জোনস বলেন,যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে সিরিয়ায় ছয় বছরের গৃহযুদ্ধে আসাদ সরকার হাজার হাজার বন্দিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে। আর সেডনায়া কারাগারে এসব হত্যার তথ্য গোপন করতে মৃতদেহগুলো চুল্লিতে ফেলে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। স্যাটেলাইটে ধারণকৃত  ছবিও দেখান জোনস। ছবিতে দেখা যায়,সেডনায়া কমপ্লেক্সের ছাদের বরফ গলে যাচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে লাশ পোড়ানোর চুল্লির উত্তাপের কারণেই এমনটা হয়েছে। এ ব্যাপারে তাদের কাছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ও মানবাধিকার সংস্থার নির্ভরযোগ্য তথ্য রয়েছে বলেও দাবি করেন জোনস।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায় সিরীয় সরকার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মার্কিন প্রশাসন বাস্তবতা বিবর্জিত নতুন একটি হলিউড কাহিনী নিয়ে হাজির হয়েছে।’

জোনস সোমবার যে ছবি দেখিয়েছেন তা স্যাটেলাইটে ২০১৫ সালে ধারণ করা হলেও এতো দেরি করে কেন প্রকাশ করা হলো সেই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। তার দাবি, প্রতিদিন প্রায় ৫০ জনের মতো বন্দিকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। তবে এ পর্যন্ত ঠিক কতজন মারা গেছেন সেই বিষয়েও নিশ্চিত করেননি তিনি।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, সেডনায়া সামরিক কারাগারে প্রতি সপ্তাহে ২০-৫০ জনকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। গৃহযুদ্ধ শুরুর পর চার বছরে অর্থাৎ ২০১১-২০১৫ সাল পর্যন্ত সেডনায়া কারাগারে ৫০০০ থেকে ১৩০০০ মানুষকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় বলেও জানিয়েছিল অ্যামনেস্টি। তখন সেই অভিযোগও অস্বীকার করেছিল সিরীয় সরকার।

/এফইউ/