সুইডিশ তদন্ত থেকে অব্যাহতি পেলেন অ্যাসাঞ্জ

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জধর্ষণ মামলায় উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তে সমাপ্তি টানার ঘোষণা দিয়েছেন সুইডিশ প্রসিকিউটররা। শুক্রবার (১৯ মে) প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ধর্ষণের অভিযোগে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্ত আর অব্যাহত না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান প্রসিকিউটর মারিয়ান নে।’

সুইডিশ প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে ওই ঘোষণা আসার কিছুক্ষণ পরই অ্যাসাঞ্জের টুইটার অ্যাকাউন্টে তার একটি হাস্যোজ্জ্বল ছবি প্রকাশ হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিল করতে স্টকহোম ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে অনুরোধ জানিয়েছে মারিয়ান নে।

অবশ্য, খবরটি জানার পর লন্ডনের মেট্রোপলিটন পুলিশ সার্ভিস (এমপিএস) বলছে, তাদের ওপর এখনও অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতারের আদেশ রয়েছে। ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে বের হলেই আদালতে আত্মসমর্পণ না করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হবে।

ইকুয়েডর সরকারের পক্ষ থেকে সুইডিশ সরকার একটি চিঠি পাওয়ার পর তদন্ত বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলো। ওই চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, তদন্ত সম্পূর্ণ করতে ‘উদ্যোগে ঘাটতি’ থাকাসহ ‘গুরুতর ব্যর্থতার’ পরিচয় দিয়েছেন প্রসিকিউটররা। যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ছয় মাস আগে লন্ডনে সুইডিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অ্যাসাঞ্জকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত সাড়া জাগানো বিকল্প সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয় ২০১০ সালে। মার্কিন কূটনৈতিক নথি ফাঁসের মধ্য দিয়ে উইকিলিকস উন্মোচন করে মার্কিন সাম্রাজ্যের নগ্নতাকে। দুনিয়াজুড়ে আলোচনায় আসেন ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রগুলোর গোপন তথ্য উন্মোচনের মধ্য দিয়ে দুনিয়াব্যাপী আধিপত্যবাদবিরোধী মানুষদের প্রতীকী কণ্ঠস্বরে পরিণত হন তিনি। একটি ধর্ষণ মামলা দিয়ে ২০১০ সালে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। 

২০১২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে ইকুয়েডরের দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন অ্যাসাঞ্জ। মূলত ২০১০ সাল থেকেই অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।

/এফইউ/