নিউ ইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ কর্মকর্তাদের বৈঠকের একটি নথি তাদের কাছে রয়েছে। যেখানে ট্রাম্প কোমি সম্পর্কে বলেন, ‘আমি এফবিআই প্রধানকে বরখাস্ত করেছি। তিনি প্রকৃত অর্থেই পাগল। রাশিয়ার কারণে আমি বিরাট চাপের মুখে ছিলাম। এখন আর সেই চাপ নেই।’
গত সপ্তাহে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ এবং রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াকের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকটি হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে অনুষ্ঠিত হয়।
এখনও পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনের কোনও প্রতিবাদ করেনি হোয়াইট হাউস।
ট্রাম্প প্রশাসনের রুশ সংযোগ ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত করছিলেন কোমি।
এদিকে, সাবেক এফবিআই প্রধান কোমি সিনেটের গোয়ান্দা বিষয়ক কমিটির সামনে তদন্ত নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়েছেন।
গত ৯ মে হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল ফাঁসের তদন্ত সঠিকভাবে তত্ত্বাবধান না করার অভিযোগ তুলে এফবিআই পরিচালক জেমস কোমিকে বরখাস্ত করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যা নতুন করে বিতর্কের জন্ম দেয়।
ডেমোক্র্যাটদের দাবি, ট্রাম্পের রুশ সংযোগ নিয়ে তদন্তের কারণেই কোমিকে বরখাস্ত করেছে প্রশাসন। তখন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ হাকাবি স্যান্ডার্স জানিয়েছিলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এফবিআই প্রধান জেমস কোমিকে বরখাস্তের কথা বিবেচনা করছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত বছর বেশ কয়েকটি ভুল পদক্ষেপ নেওয়ায় কোমির ওপর আস্থা হারান ট্রাম্প।
কোমিকে বরখাস্তের কারণ হিসেবে ট্রাম্প এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘তিনি (কোমি) একজন অসাধারণ অভিনেতা। তার অধীনে এফবিআই সংশয়ের মধ্যে চলছিল। কারও অনুরোধে নয়, আমি নিজ সিদ্ধান্তেই কোমিকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
/এসএ/