ফ্লিনকে প্রভাবিত করতে চেয়েছিল রাশিয়া!

8ec3f3601bc10da306a682c1ee427433-58e080b8116a3

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক পরামর্শক মাইকেল ফ্লিনের সঙ্গে রাশিয়ার সুসম্পর্ক ছিল এবং ট্রাম্প ও তার দলকে প্রভাবিত করতে চেয়েছিল বলে দাবি করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। শনিবার এক সূত্রের বরাতে এই তথ্য নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমটি।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন। কয়েকজন ফ্লিনের কাছে থাকা তথ্য নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। ওবামা প্রশাসনের সাবেক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ফ্লিনকে নিয়ে রাশিয়া যেভাবে কথা বলেছে এটা পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেত।’  ফ্লিনকে এখন জাতীয় নিরাপত্তার সমস্যা বলেও উল্লেখ করেন কয়েকজন কর্মকর্তা।

মার্কিন গোয়েন্দাদের ‍উদ্ধার করা সেই কথপোকথনে এটা স্পষ্ট যে রাশিয়ানরা ফ্লিনকে তাদের মিত্র বিবেচনা করতো। ২০১৬ সালেই তাদের সম্পর্ক ভালো হয়। ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলাকের সঙ্গে একটি ফোনালাপে ধরা পড়েন তিনি। সেই ফোনালাপের কারণেই শেষ পর্যন্ত পদচ্যুত হতে হয় তাকে। কর্মকর্তাদের দাবি, রুশ কর্তৃপক্ষ হয়তো ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থানের কথা ব্যক্ত করেছে।

তবে এ বিষয়ে ফ্লিনের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, আমরা নিশ্চিত যখন এই তদন্তকাজ শেষ হবে তখন নির্বাচনী প্রচারণা ও রাশিয়ার কোনও সম্পর্ক পাওয়া যাবেনা। আর এই বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে তার দেশের প্রতি দায়িত্বশীলতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারবে না্

ফ্লিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ওবামা আমলে রাশিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা সরানোর বিষয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তিনি ট্রাম্পের দায়িত্বগ্রহণের আগেই আলোচনা করেছিলেন। ফ্লিন তা করে থাকলে তবে তা হবে আইনের লঙ্ঘন। কেননা মার্কিন আইন অনুযায়ী, বেসরকারি নাগরিকদের পররাষ্ট্র নীতিমালাসংক্রান্ত কাজে জড়িত হওয়া নিষিদ্ধ।


এই ঘটনায় ফ্লিন ট্রাম্পের বড় এক দায়বদ্ধতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১৩ সালে প্রথম কিসলাকের সঙ্গে দেখা করেন ফ্লিন। রাশিয়ায় এক সফরে পরিচয় হয় তাদের। এরপর ২০১৫ সালে ক্রেমলিনের টিভি চ্যানেল আরটির এক অনুষ্ঠানে দেখা যায় ফ্লিনকে। সেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একই টেবিলে বসে তিনি।

/এমএইচ/