ম্যানচেস্টারের হামলা ‘লোন উলফ’-এর, নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে

 

ম্যানচেস্টার হামলাযুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে পপ কনসার্টের জোড়া বিস্ফোরণকে আত্মঘাতী কর্মকাণ্ড হিসেবে শনাক্ত করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। তারা জানিয়েছে, বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেও নিহত হয়েছেন ওই লোন উলফ হামলাকারী। সোমবার রাতের ওই বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ২২ জন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার পুলিশ। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৯ জন। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

২১ মে সোমবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে ম্যানচেস্টার অ্যারেনায় মার্কিন সংগীতশিল্পী আরিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্টে এ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের শব্দে দিগ্বিদিক ছুটতে গিয়ে অনেকে নিখোঁজ হয়ে পড়ে। আর তাদের ফিরে পেতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আশ্রয় নিয়েছেন স্বজনরা।

পুলিশের দাবি অনুযায়ী আত্মঘাতী ওই হামলাকারী ছিলেন লোন উলফ। ‘এই পর্যায়ে আমরা ধারণা করছি, একজন হামলাকারীই এই হামলা চালিয়েছে।হামলায় নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।’ বলেছেন ম্যানচেস্টার পুলিশের চিফ কনস্টেবল। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘হামলাস্থলেই নিহত হয়েছেন হামলাকারী।এখন বিবেচ্য হলো, তিনি নিজ সিদ্ধান্তে হামলা চালিয়েছেন নাকি কোনও নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে কাজ করেছেন।’

উল্লেখ্য লোন উলফ অর্থ হলো একা একজন ব্যক্তির ‘টার্গেটেড’ কোনও স্থানে গিয়ে আত্মঘাতী হামলা করা। এ ধরনের হামলার কারণে হামলাকারী জীবিত না থাকায় তার কাছ থেকে কোনও তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন না আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

ম্যানচেস্টার এরিনা কর্তৃপক্ষ জানায়, ভেন্যুর বাইরে এক জনসমাগম এলাকায় বিস্ফোরণ ঘটে। কনসার্টে সেসময় প্রায় ২১ হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।  কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, বিস্ফোরণে পুরো দালান কেঁপে উঠে। সবাই আতঙ্কিত হয়ে পালাতে শুরু করে। ইতোমধ্যে এরিনা সংলগ্ন ভিক্টোরিয়া ট্রেন স্টেশনসহ বড় এরিনাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মঙ্গলবার সারাদিন এগুলো বন্ধ থাকবে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে হতাহতদের প্রতি ও তাদের পরিবারের পাশে রয়েছেন বলে জানান। লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন ও লিবারেল ডেমোক্রেট নেতা টিম ফ্যারনও তাদের সহমর্মিতা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় এ নিয়ে কোবরা সরকারি জরুরি কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা হয়েছে। আত্মীয় ও বন্ধুদের সম্পর্কে জানার জন্য পুলিশ সবাইকে +৪৪০১৬১৮৫৬৯৪০০ নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলেছে।

/বিএ/