দুর্নীতির অভিযোগে দ. কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টের বিচার শুরু

পার্ক জিউন হাইদুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাই-এর বিচার শুরু হয়েছে। দেশটির আইন অনুযায়ী দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। অবশ্য মঙ্গলবার (২৩ মে) বিচার কার্যক্রমের প্রথম দিনে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন, সাবেক এ প্রেসিডেন্ট।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, গত মার্চে গ্রেফতার হওয়ার মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো জনসন্মুখে দেখা গেছে হাইকে। এদিন একটি প্রিজন ভ্যানে করে পার্ক জিউন হাইকে আদালতে হাজির করা হয়। তার হাত ছিল হাতকড়ায় বাধা।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন পার্ক। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে। পার্কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, নিজ ক্ষমতার অধীনে তিনি তার বন্ধুকে দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেন।
পার্ক জিউন-হাইয়ের বন্ধু চোই সুন-সিল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদানের নামে ৬৫.৫ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেন। এর মধ্যে স্যামসাং এবং হুন্দাই-এর মতো কোম্পানিও রয়েছে। ওই অর্থ সন্দেহভাজন একটি ফাউন্ডেশনের নামে নেওয়া হয়। পরে তিনি সেখান থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হন।
পার্ক জিউনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বন্ধুকে ওই অর্থ তুলতে সাহায্য করেন। তিনি চোই সুন-সিলকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি চোই-এর রাষ্ট্রীয় নথি ফাঁস করতে সহযোগীদের নির্দেশ দিয়েছেন। অথচ প্রেসিডেন্টের বন্ধু চোই কোনও রাষ্ট্রীয় পদেই নেই।
গত ডিসেম্বর থেকে পার্ককে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে রাখা হয়েছিল। আর এ সময় প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। ১০ মার্চ পার্ক জিউন হাইকে অভিশংসিত করা নিয়ে পার্লামেন্টের নেওয়া সিদ্ধান্তটি বহাল রাখে আদালত। দেশটির সাংবিধানিক আদালতের আট বিচারপতির প্যানেল সর্বসম্মতিক্রমে পার্ক জিউনকে অভিশংসিত করার ব্যাপারে পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তটি বহাল রাখে। এরপর তাকে গ্রেফতার করা হয়।

/এফইউ/