ম্যানচেস্টারের সঙ্গে প্যারিস ও ব্রাসেলস হামলার সংযোগ খুঁজছেন গোয়েন্দারা!

ম্যানচেস্টার হামলার পর অভিযানম্যানচেস্টার হামলার সঙ্গে প্যারিস ও ব্রাসেলস হামলার সংযোগ থাকার ধারণা করছে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। গোয়েন্দা সূত্রকে উদ্ধৃত করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ট্যাবলয়েড ডেইলি মেইল এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যানচেস্টার হামলায় পুলিশ যখন একের পর এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে যাচ্ছে, তখন এ ঘটনার সঙ্গে প্যারিস ও ব্রাসেলস হামলার সম্ভাব্য সংযোগ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে গোয়েন্দারা। সূত্রকে উদ্ধৃত করে ডেইলি মেইল জানায়, একই জঙ্গি সেল থেকে এ তিন হামলা পরিচালনা করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

২২ মে সোমবার রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী আরিয়ানা গ্র্যান্ডের কনসার্টে চালানো ওই হামলায় ২২ জন নিহত আর ৬৪ জন আহত হয়। হামলার প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটেনে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রচারণা স্থগিত হয়ে যায়। তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠে সারাবিশ্বে। প্রাথমিকভাবে নিরাপত্তা সূত্র দাবি করে, এটা এক ব্যক্তির সংঘটিত (লোন উলফ) হামলা। তবে মঙ্গলবার সেই অবস্থান থেকে সরে তারা হামলায় একাধিক মানুষের জড়িত থাকার সন্দেহের কথা জানায়। আত্মঘাতী হামলাকারীকে সালমান আবেদি হিসেবে শনাক্ত করে ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ। লিবীয় বংশোদ্ভূত ২২ বছরের তরুণ সালমান।  

গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, সালমান আবেদি যেভাবে ম্যানচেস্টার অ্যারিনায় নৃশংসতা চালিয়েছে তার সঙ্গে প্যারিস ও ব্রাসেলসের সন্ত্রাসী হামলার সংযোগ থাকতে পারে। প্যারিস ও ব্রাসেলস হামলার সন্দেহভাজন মোহাম্মদ আবরিনি যে সেলটির হয়ে কাজ করতেন, সেই একই সেলে সালমান আবেদিও থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০১৫ সালে আবরিনি ম্যানচেস্টারে ভ্রমণ করেছিলেন।

হামলার পর প্রাথমিকভাবে একে লোন উলফ হামলা বলে মনে করা হলেও এখন সন্দেহ করা হচ্ছে এ হামলা একা একা চালানো হয়নি। আর দিন দিন সে ধারণা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। ডেইলি মেইল জানায়, একটি সূত্র দাবি করেছে সোমবার (২২ মে) হামলা চালানোর আগে টেনে করে লন্ডন থেকে ম্যানচেস্টারে এসেছিল সালমান। সন্দেহ করা হচ্ছে, সালমান হয়তো তার সহযোগী পরিকল্পনাকারীদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক ডিভাইস সংগ্রহ করেছেন।

হামলায় যে ডিভাইস ব্যবহার করা হয়েছিল তাতে একটি শক্তিশালী ব্যাটারি লাগানো ছিল। রিমোট কন্ট্রোল ব্যবস্থা ছিল এবং সেল ফোন থেকে পরিচালনাযোগ্য ব্যবস্থাও যুক্ত করা ছিল। যদি বিস্ফোরণের প্রথম প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় তারপরও যেন পরবর্তী ধাপে তা কার্যকর করা যায়, এর সব ব্যবস্থা ছিল। বিস্ফোরক ডিভাইসের ডিজাইনও বলে দিচ্ছে আবেদি একা একা হামলা চালায়নি।

কেউ কেউ বলছে, সালমান তার এক বন্ধুর মৃত্যু নিয়ে খুব ব্যথিত ছিল। ২০১৬ সালের মে মাসে ম্যানচেস্টারে গাড়ি চাপা এবং পরে ছুরিকাঘাতে তার মৃত্যু হয়। পারিবারিক এক বন্ধুকে উদ্ধৃত করে যেইলি মেইল জানায়, এ ঘটনাকে বিদ্বেষমূলক হামলা হিসেবে দেখতো সালমান। একে ব্রিটেনে মুসলিমদের সঙ্গে বৈরি আচরণ বলে বিবেচনা করতো সে।

/এফইউ/