মিসরে কপটিক খ্রিস্টানদের ওপর হামলার দায় স্বীকার আইএসের

.মিসরের মিনিয়া প্রদেশে কপটিক খ্রিস্টানদের বহনকারী একটি বাসে হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস। শুক্রবারের ওই হামলায় অন্তত ২৯ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২৫ জন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সাইট ইন্টেলিজেন্স জানিয়েছে, আইএস তাদের নিজস্ব বার্তা সংস্থা আমাক নিউজ এজেন্সি-তে এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মিসরে খ্রিস্টানদের ওপর নির্মম নিপীড়নে আমাদের হৃদয় কাঁদছে।

২৬ মে ২০১৭ শুক্রবার দুটি বাস ও একটি ট্রাকে করে কপটিক খ্রিস্টানরা প্রার্থনার জন্য সেন্ট স্যামুয়েল আশ্রমে যাচ্ছিলেন। আচমকা মুখোশধারী বন্দুকধারীরা তাদের বহনকারী যানগুলোতে হামলা চালায় এবং ফাঁকা গুলি ছুড়তে শুরু করে।

মিসরের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ খ্রিস্টান। সশস্ত্র সংগঠনগুলো প্রায়ই খ্রিস্টানদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে থাকে। গত এপ্রিলে পাম সানডে উৎসব চলার সময় তান্তা আলেক্সান্দ্রিয়া শহরের বিভিন্ন গির্জায় দুটি আলাদা বোমা হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হন। এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে কায়রোর বৃহত্তর কপটিক ক্যাথেড্রোলে বোমা হামলায় ২৫ জন নিহত এবং ৪৯ জন আহত হন।

‘কপটিক অর্থোডক্স চার্চ’ মিসরে খ্রিস্টানদের প্রধান গির্জা। বেশিরভাগ কপটিকের বসবাস মিসরে হলেও দেশের বাইরে গির্জাটির প্রায় ১০ লাখ সদস্য রয়েছে। কপটিকরা বিশ্বাস করেন, তাদের গির্জাটি ৫০ খ্রিস্টাব্দে অ্যাপোস্টল মার্ক যখন মিসর সফরে এসেছিলেন তখনকার। চার্চটির প্রধানকে পোপ হিসেবে সম্বোধন করা হয় এবং তাকে সেন্ট মার্কের উত্তরসূরী বিবেচনা করা হয়। যিশু খ্রিস্টের মানবিক ও ঐশ্বরিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে মতবিরোধের জেরে ৪৫১ খ্রিস্টাব্দে কাউন্সিল অব চ্যালসেডনের অন্য খ্রিস্টীয় গোষ্ঠী থেকে এ চার্চটি আলাদা হয়ে পড়ে।

/এমপি/