ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে ইসরায়েলিদের বিক্ষোভ

তেল আবিবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিইসরায়েলের বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতৃত্বে বামপন্থী সমর্থকরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ৫০ বছর ধরে চলা দখলদারিত্ব বন্ধে বিক্ষোভ করেছেন। লেবার পার্টির প্রধান ইসাক হারজং ওই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। তারা ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’ নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট আই এ খবর জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালে ছয়দিনের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ শেষে ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও লেবাননের একটা বড় অংশ দখল করে নেয় ইসরায়েল। পরে সিরিয়া ও লেবাননের দখল করা জায়গা আংশিক ফেরত দিলেও ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে দখলদারিত্ব ক্রমাগত বাড়িয়েছে তারা।

এ দখলদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার তেল আবিবে ‘দুই রাষ্ট্র – এক আশা’ শীর্ষক বিক্ষোভ কর্মসূচীর ডাক দেন বামপন্থীরা। এতে প্রায় ১৫ হাজার ইসরায়েলি যোগ দেন বলে জানা গেছে।

ওই বিক্ষোভে যোগ দেওয়া ইসরায়েলি এনজিও পিস নাও-এর প্রধান আভি বুসকিলা জানিয়েছেন, ‘সরকার দখলদারিত্ব, সহিংসতা ও বর্ণবাদ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিতে পারায় এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে।’

তেল আবিবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি

তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলি, ফিলিস্তিনি এবং পুরো বিশ্ববাসীর কাছে নিজেদের প্রমাণ করার এটাই সময় যে, ইসরায়েলের বৃহৎ জনগোষ্ঠী দখলদারিত্বের অবসান এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’ বাস্তবায়ন করতে চায়।”

বিক্ষোভ সমাবেশে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একটি বার্তা পড়ে শোনানো হয়। সেখানে আব্বাস বলেন, ‘সম্প্রীতি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ভিত্তিতে একসঙ্গে বসবাসের এখনই সময়। ভবিষ্যত প্রজন্মকে শান্তিপূর্ণ অবস্থায় থাকার সুযোগ দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের ওপর ন্যাস্ত।’

উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রায় চার লাখ ইসরায়েলি সেটেলার পশ্চিম তীরের ‘দখলীকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বাস করেন। এসব বসতি সরিয়ে নেওয়াটা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার অন্যতম পূর্বশর্ত।

জাতিসংঘ এসব বসতিকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করলেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উগ্র-ডানপন্থী সরকার প্রথম থেকেই বসতি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে আসছে।

/এসএ/