বাংলাদেশকে সর্বনিম্ন দরে চাল দেবে সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান

slider-5a

বাংলাদেশকে টনপ্রতি মাত্র ৪০৬.৪৮ মার্কিন ডলারে চাল বিক্রির  প্রস্তাব দিয়েছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই খবর জানিয়েছে।  

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে  শস্য ক্রয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই তথ্য দিয়েছেন। তারা জানিয়েছে ৫০ হাজার টন চাল আমদানির এক টেন্ডারে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সবচেয়ে কম দামে চাল বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে এগ্রোক্রপ ইন্টারন্যাশনাল।
২০১১ সালের পর ২২ মে চাল আমদানির জন্য প্রথমবার আন্তর্জাতিক নিলাম আহ্বান করে বাংলাদেশ।

চাল উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তবে বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে এমন অবস্থানের মধ্যেও ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ভারতের মতো রফতানিকারক দেশগুলোতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশে চালের দাম বৃদ্ধি এখন রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। এপ্রিলের বন্যার ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মজুদের পরিমাণও ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ওই বন্যার ফলে দেশে সাত লাখ টন চাল নষ্ট হয়। কর্মকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, বেসরকারি উদ্যোগে চাল আমদানিকারকদের ওপর থেকে শুল্ক তুলে নেওয়া হবে না বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কৃষকদের কথা চিন্তা করেই সরকারের এমন সিদ্ধান্ত।

ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর চালের প্রধান আমদানিকারক দেশ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে বাংলাদেশ। মার্কিন কৃষি দফতরের ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী, চাল আমদানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ। এরপর থেকে বাংলাদেশ সরকার চাল আমদানি বন্ধ রাখে। তবে বেসরকারি খাতে ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি অব্যাহত রাখেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই আসে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে। 

বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন টন চাল উৎপাদন করে। উৎপাদিত চালের অধিকাংশই দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাবারের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়। তবে বন্যা ও খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে মাঝেমধ্যেই বাংলাদেশকে চাল আমদানি করতে হয়।

সূত্র: রয়টার্স

/এমএইচ/বিএ/