ধলা-সাদিয়া সেতু নামে পরিচিত এই ব্রিজটির অফিসিয়াল নাম ভূপেন হাজারিকা সেতু। আসামের পূর্বাঞ্চলীয় তিনসুকিয়া জেলায় এই সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে মোদি সরকার নিজের তৃতীয় বর্ষপূতি উদযাপন শুরু করে। ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপর ৯ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুটিতে তিনটি পৃথক লেন রয়েছে। এটি চালু হওয়ার ফলে ভারতের আসাম ও অরুণাচল রাজ্যের মধ্যে যাতায়াতের সময় ৫ ঘণ্টা কমে আসবে।
ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই সেতুর ওপর দিয়ে ৬০ টন ওজনের ব্যাটল ট্যাঙ্ক চলাচল করতে পারবে। ধলা-সাদিয়া ব্রহ্মপুত্রের দুই পারের দুই অঞ্চল। সেতটিু এই দুই অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যাতে প্রয়োজনে এর ওপর দিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিশাল ব্যাটল ট্যাঙ্কগুলো দ্রুত চীন সীমান্তের দিকে যাত্রা করতে পারে। তবে অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে চীনের সঙ্গে ভারতের সমস্যা রয়েছে। চীন বরাবরই অরুণাচলকে দক্ষিণ তিব্বত হিসেবে দাবি করে থাকে। তবে বেইজিং-এর এমন দাবি সবসময়ই প্রত্যাখ্যান করে আসছে ভারত। দিল্লির দাবি, অরুণাচল ভারতের অখণ্ড অংশ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএস’কে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আমরা আশা করি সীমান্ত সমস্যার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভারত সতর্ক এবং সংযত মনোভাব পোষণ করবে। যৌথভাবে বিরোধ নিষ্পত্তি এবং সীমান্ত এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় এর প্রয়োজন রয়েছে।
/এমপি/