রয়টার্সের কাছে আসা নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবের খসড়ায় দেখা যায়, কোরিও ব্যাংক, উত্তর কোরীয় সেনাবাহিনীর সংস্থা স্ট্র্যাটেজিক রকেট ফোর্স এবং ১৪ ব্যক্তি ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন। ওই ব্যক্তিদের মধ্যে চো ইল ইউর নামও রয়েছে। ধারণা করা হয়, তিনি দেশটির বৈদেশিক গোয়েন্দা কর্মকাণ্ডের প্রধান।
এ নিষেধাজ্ঞা জারি হলে ওই ব্যক্তি ও সংস্থাগুলোর সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং তাদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এমন নিষেধাজ্ঞা এর আগেও একাধিকবার উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জারি করা হয়েছে। তবে এর ফলে যে কোম্পানিগুলো সামনে থেকে উত্তর কোরিয়ার পক্ষে অর্থনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে, সেগুলোর কয়েকটিও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসলো।
এ নিষেধাজ্ঞার আরেকটি বিশেষ দিক হলো – জানুয়ারিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর এবারই প্রথম চীন ও যুক্তরাষ্ট্র কোনও নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একমত পোষণ করেছে।
কূটনীতিকরা জানিয়েছেন, গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার পর দেশ দুটি ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। পরে তারা নিরাপত্তা পরিষদের অপর ১৩ সদস্যের কাছে সে প্রস্তাব পেশ করা হয়।
তবে রাশিয়া এ প্রস্তাবে ভেটো দেবে কিনা, এ বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। এর আগে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় সমর্থনের অভিযোগে দুটি রুশ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানিয়েছেন, মার্কিন সিদ্ধান্তে তারা বিভ্রান্ত হয়েছেন। তবে তারা এ বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন, তা এখনও নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
/এসএ/