আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে অনেক এগিয়েছে উ. কোরিয়া: মার্কিন বিশেষজ্ঞ

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাউত্তর কোরিয়া আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আগামী তিন বছরের মধ্যেই তারা এটি তৈরিতে সফল হবে বলে দাবি করেছেন মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞ মাইকেল ইলেমান। দক্ষিণ কোরীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ এ খবর জানিয়েছে।

গত ১৪ মে উত্তর কোরিয়া ১২টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। এর ফলে দেশটির কাছে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র থাকার দাবি এর ফলে আরও জোরালো হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম।

উত্তর কোরিয়ার দাবি, নিক্ষেপ করার পর তাদের ক্ষেপণাস্ত্র  দুই হাজার একশ’ সাড়ে ১১ কিলোমিটার ওপর দিয়ে ৭৮৭ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে পূর্ব চীন সাগরে পতিত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি স্বাভাবিক কোণে নিক্ষেপ করা হলে, এটি সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সক্ষম।

ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস) ফেলো মাইকেল ইলেমান জানান, উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্রে যে ইঞ্জিন ব্যবহার করছে, তা মধ্যপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহার করা ইঞ্জিন থেকে ভিন্ন। ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন

ইলেমান বলেন, ‘আমার কাছে এটা অনেক বড় বিষয়। তারা এ ইঞ্জিন নিজেরা তৈরি করেছে, এমনটা আমি মনে করি না। আমার ধারণা, এটা রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ইঞ্জিন আরডি-২৫০ হতে পারে।’

উত্তর কোরিয়া ওই ইঞ্জিন রাশিয়া বা ইউক্রেন থেকে সংগ্রহ করে থাকতে পারে বলে ধারণা ইলেমানের। তিনি বলেন, ‘ওই ১২টি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা থেকে বোঝা যায়, তারা আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির ক্ষেত্রে অনেকখানি এগিয়ে গেছে।’

তবে তিনি আরও জানান, এখনও উত্তর কোরিয়া আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পারেনি। তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা, আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে তাদের আরও তিন বছর সময় লাগবে। অর্থাৎ, এ কাজে তাদের ২০২০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। জরুরি অবস্থায় এ সময়টা তারা কমিয়ে আনতে পারে। তবে এতে বহু ক্ষেপণাস্ত্র অকার্যকর হয়ে পড়তে পারে।’  

/এসএ/