পশ্চিম তীরে আরও আড়াই হাজার অবৈধ বসতির অনুমোদন দিচ্ছে ইসরায়েল

দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ ইসরায়েলি বসতিফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে আরও আড়াই হাজার অবৈধ বসতির অনুমোদন দিতে যাচ্ছে ইসরায়েল। দখলকৃত ভূখণ্ডে এসব বসতি স্থাপনকে কেন্দ্র করে বেশকিছু নতুন পরিকল্পনা রয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের। তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী এসব বসতি সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। পিস নাউ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার বরাত দিয়ে ৩ জুন শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর।

ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ইসরায়েল সফরের পরই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠছে তেল আবিব।

এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে আট হাজার অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপনকারীকে (সেটেলার) নিয়ে পশ্চিমতীরের সালফিট শহরে তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে ইহুদি রীতির ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করে বসতি স্থাপনকারীরা।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, ফিলিস্তিনে অভিবাসন এবং বলপূর্বক বসতি স্থাপন অবৈধ। ২০ বছরের বিরতি শেষে সম্প্রতি অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন করে বসতি নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল।

১৯৯০ এর দশকের শুরু থেকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বেশ কয়েক দফায় শান্তি আলোচনা হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা চায় পশ্চিম তীরে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে এর রাজধানী বানাতে। ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের অবিভাজ্য রাজধানী বলে দাবি করে থাকে ইসরায়েল। অবশ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।

১৯৬৭ সালের পর পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে শতাধিক বসতি স্থাপন করেছে ইসরায়েল। পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে স্থাপিত প্রায় ১৪০টি বসতিতে ৬ লাখেরও ইসরায়েলি বসবাস করে। আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এ বসতি স্থাপনকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হলেও তা মানতে নারাজ ইসরায়েল।

/এমপি/