পাহাড়ি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি অ্যামনেস্টির

Untitled-1-Recovered

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় সেখানকার পাহাড়িদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করার ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। মঙ্গলবার তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নীরব ভূমিকারও সমালোচনা করে ওই সংস্থা।

অ্যামনেস্টি অভিযোগ করে, এই ঘটনার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের উপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপের কারণে উদ্বিগ্ন তারা। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, অগ্নিসংযোগের সময় পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‍উপস্থিত থাকলেও গ্রামবাসীদের সহায়তায় এগিয়ে যায়নি তারা।‌

২ জুন রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় যুবলীগের এক নেতা হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর সেখানকার পাহাড়িদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। হামলার পর লংগদু উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। বিবৃতিতে একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়ে অ্যামনেস্টি জানায়, এই তদন্তের ফল অবশ্যই জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে এবং সন্দেহভাজন ও দায়ীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ বিচার করতে হবে। তবে অবস্থানগত জায়গা থেকে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতাও জানান দেয় অ্যামনেস্টি। তারা এ ঘটনার বিচার করতে গিয়ে কাউকে মৃত্যুদণ্ড না দেওয়ার আহ্বান জানায়।

অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৫ জুন পর্যন্ত পুলিশ ১২জনকে গ্রেফতার করেছে। সরকার বাস্তুহারাদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাসও দিয়েছে। সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে অ্যামনেস্টি জানায়, এর আগেও পাহাড়িদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারির ঘটনা সামনে নিয়ে আসে তারা। তখন বাঙালি ও পাহাড়িদের সংঘর্ষে পাহাড়িদের ২৩টি ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছিলো। এখনও সেই হামলায় সংশ্লিষ্ট কারও বিচার হয়নি।

অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধনে পুলিশের বাধার কথা উল্লেখ করেছ অ্যামনেস্টি। সেখান থেকে নিতিময় চাকমা ও জীবন চাকমাকে আটক করে পুলিশ। বিবৃতিতে বলা হয়, তাদেরকে গ্রেফতার করে শান্তিপূর্ণ বিরোধিতার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।  

ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অ্যামনেস্টি আদিবাসীদের রক্ষায় সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়। একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকার নিশ্চিত করারও আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

/এমএইচ/বিএ/