আপাতত কাতারে শ্রমিক পাঠাবে না ফিলিপাইন

বিদেশি শ্রমিকরা কাজ করছেনশ্রমিকদের কাতারে যাওয়ার ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ফিলিপাইন। মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেওয়ার পর ফিলিপাইন নিজস্ব শ্রমিকদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেয়।

সোমবার (৫ জুন) জঙ্গিবাদে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের ৬ দেশ। প্রথমে সৌদি আরব ও বাহরাইন এবং পরে তাদের ধারাবাহিকতায় মিসর,সংযুক্ত আরব আমিরাত,লিবিয়া এবং ইয়েমেন কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ইয়েমেনে কথিত সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধের আরব জোট থেকেও বাদ দেওয়া হয় কাতারকে। সম্পর্ক ছিন্নকারী দেশগুলো ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপও ঘোষণা করে

ফিলিপাইন সরকারের আশঙ্কা, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ‘কূটনৈতিক যুদ্ধের’ প্রভাব তাদের প্রবাসী শ্রমিকদের ওপর পড়তে পারে। আর সেকারণে কাতারে সাময়িকভাবে শ্রমিক পাঠানো বন্ধ ঘোষণা করেছে দেশিট।

ফিলিপাইনের শ্রম সচিব সিলৈভেসত্রে বেলো বলেন, পরিস্থিতি পুরোপুরিভাবে মূল্যায়ন না করা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। মঙ্গলবার (৬ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ওইখানকার পরিস্থিতি নিয়ে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, সেখানকার পরিস্থিতি একেবারেই ভালো না।’ ফিলিপাইন সরকারের আশঙ্কা, চলমান উত্তেজনার কারণে কাতারে খাদ্য স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। কেননা দেশটি খাবারের একটি বড় অংশ আমদানি করে থাকে। অবশ্য সোমবার কাতার সরকার বলেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। এ নিয়ে লোকজনকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কাতার বিদেশি শ্রমিকদের ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। দেশটির ২ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বিদেশ থেকে আগত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ লাখেরও বেশি ফিলিপিনো মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাজ করেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার ফিলিপিনো কাতারে নিয়োজিত রয়েছেন।

/এফইউ/