ইরানের পার্লামেন্টে গুলিতে নিহত ৭, খোমেনির মাজারে আত্মঘাতী হামলা

ইরানের পার্লামেন্ট
ইরানের পার্লামেন্ট ও সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনির মাজারে দুর্বৃত্তদের হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তাসমিনের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স নিহতের সংখ্যা জানিয়েছে। অবশ্য, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে নিহতের সংখ্যা একজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। এরইমধ্যে কয়েকজন হামলাকারীকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার সকালে ইরানের রাজধানী তেহরানের দুটি এলাকায় হামলা চালায় অজ্ঞাতরা। পার্লামেন্ট সদস্য ইলিয়াস হযরতিকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স আরও জানায়, একটি পিস্তল ও দুটি একে-৪৭ রাইফেল নিয়ে তিন দুর্বৃত্ত পার্লামেন্টে হামলা চালায়। নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে তারা। সেসময় সাতজন নিহত হয় বলে জানিয়েছে তাসমিন।  ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, পার্লামেন্টে হামলাকারীর সংখ্যা ৪ জন ছিল। 

হামলার সময় পার্লামেন্টের ভেতরে অবস্থান করছিলেন এমন এক সাংবাদিক রয়টার্সকে তার অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘গোলাগুলির সময় আমি পার্লামেন্টের ভেতরে ছিলাম। সবাই খুব বিস্মিত ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। আমি দেখলাম, দুই বন্দুকধারী অনবরত গুলি চালিয়ে যাচ্ছে।’ অবশ্য, ওই সাংবাদিক নিজের নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছা জানিয়েছেন।

আরেক পার্লামেন্ট সদস্যকে উদ্ধৃত করে ইরানি বার্তা সংস্থা আইএসএনএ জানায়, গোলাগুলি শুরু হওয়ার পর পার্লামেন্টের সবগুলো দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এক হামলাকারীকে নিরাপত্তা বাহিনী ঘেরাও করে ফেলে। 

খোমেনির মাজার
বুধবার পার্লামেন্টে হামলার আধ ঘণ্টা পর আয়াতুল্লাহ খোমেনির মাজারেও কয়েকজন বন্দুকধারী হামলা চালায়। সেসময় একটি আত্মঘাতী হামলাও চালানো হলে কয়েকজন আহত হয়। হামলাকারী আত্মঘাতী নারী বলে জানিয়েছে ইরানি সংবাদমাধ্যম ফারস নিউজ। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড ভেস্টও উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হামলাকারীর পরিচয় এবং হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।  

উল্লেখ্য, আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব শুরু করেন।

/এফইউ/