রাশিয়া নিয়ে তদন্তের কারণেই আমাকে বরখাস্ত করেছেন ট্রাম্প: কোমি

জেমস কোমি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পএফবিআই-এর সাবেক পরিচালক জেমস কোমি বলেছেন, মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ তদন্তের কারণেই আমাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ৮ জুন ২০১৭ বৃহস্পতিবার মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা কমিটির শুনানিতে উপস্থিত হয়ে নিজের এমন বক্তব্য তুলে ধরেন জেমস কোমি।

শুনানিতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফবিআই)-এর সাবেক এ প্রধানের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘আপনি কি মনে করেন যে, রাশিয়া সংক্রান্ত তদন্তের কারণেই আপনাকে বরখাস্ত করা হয়েছে?’ এমন প্রশ্নের উত্তরে কোমি বলেন, ‘হ্যাঁ! কারণ আমি প্রেসিডেন্টকেও এমনটা বলতে শুনেছি।’

এফবিআই-এর সাবেক এ পরিচালক বলেন, এফবিআই-এর নেতৃত্ব দুর্বল! সংস্থাটির মধ্যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে! এ ধরনের কথা বলার মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন এফবিআই-কে অপবাদ দেওয়ার পথ বেছে নিয়েছে। তাদের এসব বক্তব্য স্পষ্টতই মিথ্যাচার।

জেমস কোমি বলেন, রাষ্ট্রপ্রধান যে কোনও সময়েই এফবিআই প্রধানকে বরখাস্ত করতে পারেন। কিন্তু এখানে যেসব যুক্তি দেখানো হয়েছে, সেটা একইসঙ্গে বিস্ময়কর ও উদ্বেগজনক।

২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের তদন্ত চলাকালে হঠাৎ করেই গত চলতি বছরের ৯ মে জেমস কোমিকে এফবিআই প্রধানের পদ থেকে অপসারণ করেন ট্রাম্প। এ ঘটনায় ট্রাম্পের রুশ সংযোগের বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সিনেট কমিটির শুনানিতেও নিজের অপসারিত হওয়ার ঘটনায় ট্রাম্পের রুশ সংযোগকেই দায়ী করেন সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্পের রুশ সংযোগ তদন্তে আরও জনবল এবং আনুষঙ্গিক সহায়তা চেয়েছিলেন বরখাস্ত হওয়া এফবিআই প্রধান জেমস কোমি। আর এ তদন্ত নিয়ে আগ্রহ দেখানোই কাল হয়েছিল বিদায়ী এই এফবিআই প্রধানের। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনা অনুযায়ী তার এক সহযোগীর ব্যাপারে ইতিবাচক স্বাক্ষ্য দিতে অপারগতা জানিয়েছিলেন জেমস কোমি। এ ঘটনা এফবিআই প্রধানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের ক্ষোভকে আরও উস্কে দেয়। পরিণতিতে ৯ মে ২০১৭ মঙ্গলবার এফবিআই প্রধানের পদ থেকে জেমস কোমি’কে বরখাস্ত করেন ট্রাম্প।

/এমপি/