কাতারের নাগরিকদের মক্কার মসজিদ-আল হারামে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ

মক্কার মসজিদ আল হারামকাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কচ্ছেদের জের ধরে দেশটির নাগরিকদেরকে মুসলিমদের সর্বোচ্চ তীর্থস্থান মক্কার মসজিদুল হারামে ঢুকতে দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। কাতারভিত্তিক পত্রিকা আল শার্‌ক জানিয়েছে, দেশটির ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন (এনএইচআরসি) কাতার থেকে হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাওয়া নাগরিকদের কাছ থেকে এমন অনেকগুলো অভিযোগ পেয়েছে।

এনএইচআরসি’র প্রধান আলী বিন আসমাইখ আল-মার্‌রি এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার নীতি অনুসারে মানুষের ধর্মচর্চার অধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। এ আল শারক-এর শনিবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে সংস্থাটি।

তবে সাধারণত সৌদি সরকার কখনোই জাতীয়তা বা সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে কাউকে গ্র্যান্ড মস্‌ক বা মসজিদুল হারামে প্রবেশে বাধা দেয় না। এখন পর্যন্ত কূটনৈতিক সম্পর্কের জেরে কাউকে মসজিদ এলাকায় ঢুকতে বাধা দেয়া বা আটকানো হয়নি।

এ অভিযোগ আসার এক দিনেরও কম সময়ের মধ্যে কাতারবিরোধী তৎপরতায় সামিল হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) এবং বাহরাইন। সামাজিক মাধ্যমে এই ইস্যুতে কাতারের প্রতি ‘সহমর্মিতা’ প্রদর্শনকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে শাস্তির ঘোষণা দেয়। আমিরাত বলেছে, এ অপরাধের শাস্তি হিসেবে ১৫ বছর জেল এবং ১ লাখ ৩৬ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে হবে। আর বাহরাইন ৫ বছরের কারাদণ্ডের ঘোষণা দিয়েছে।

জঙ্গিবাদে সমর্থন ও মদদ দেয়ার অভিযোগ তুলে গত ৫ জুন আনুষ্টানিকভাবে কাতারের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন এবং ইউএই। ওইদিনই আরও দু’টি দেশ – ইয়েমেন এবং মালদ্বীপ দেশটির সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে।

তবে এ অভিযোগ প্রথম থেকেই সম্পূর্ণ অস্বীকার করছে কাতার। গ্লোবাল লিকসের ফাঁসকৃত এক নথিতে দেখা যায়, আগে থেকেই আরব আমিরাত কাতারবিরোধী প্রচারণার ফন্দি করেছিল।

/বিএ/