নতুন কিউবা নীতির ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প

মিয়ামিতে ট্রাম্পসাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কিউবা নীতি পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। ওবামার কিউবা নীতিকে ‘একতরফা’ দাবি করে ট্রাম্প জানান, তার নতুন নীতিতে কিউবায় ভ্রমণ এবং অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। শুক্রবার ফ্লোরিডার মিয়ামিতে দেওয়া এক ভাষণে ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে।

আর্থিক ও ভ্রমণে বিধিনিষেধ জারি করলেও ট্রাম্প দ্বীপ রাষ্ট্রটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখবেন। হাভানা থেকে দূতাবাসও সরিয়ে নেবেন না ট্রাম্প। কিউবার সঙ্গে বাণিজ্যিক বিমান ও নৌ চলাচলও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।  

ট্রাম্প বলেছেন, ‘রাজনৈতিক বন্দীদের যতদিন মুক্তি দেওয়া না হবে, যতদিন সংসদ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত না হবে, সকল রাজনৈতিক দলকে যতদিন বৈধতা না দেয়া হবে, আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদেরকে যতদিন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ না দেওয়া হবে, ততদিন কিউবার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলা হবে না।’

ট্রাম্প বলেন, ওবামা প্রশাসন ২০১৬ সালের মার্চে ‘নৃশংস’ কাস্ত্রো সরকারের সঙ্গে এক ‘ভয়ঙ্কর’ ও ‘দিকভ্রান্ত’ চুক্তি করেছে।

শুক্রবার মার্কিন পর্যটকদের জন্য কিউবায় যাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে একটি নির্দেশনা জারি করেছেন। এ নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনও মার্কিন ব্যক্তি বা কোম্পানি কিউবার আর্মড ফোর্সেস বিজনেস এন্টারপ্রাইজেস গ্রুপের সঙ্গে কোনও বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখতে পারবে না। কিউবার রাষ্ট্রীয় এ প্রতিষ্ঠানটি দেশটির অর্থনীতির সকল ক্ষেত্রে ক্রিয়াশীল রয়েছে।  

১৯৫৯ সালে সামরিক শাসক জেনারেল বাতিস্তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় আসেন ফিদেল কাস্ত্রো। এর পরই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে কিউবার। এরপর প্রায় পাঁচ দশক ধরে দুই দেশের কূটনৈতিক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এ কারণে পারস্পরিক বাণিজ্যিক সম্পর্কও নষ্ট হয়। পরে কিউবার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে মনোযোগী হয় ওবামা প্রশাসন। বিশেষ করে ২০১৪ সাল থেকে সম্পর্কোন্নয়নের এই প্রচেষ্টা জোরদার করেন ওবামা। পরে গত বছর মার্চে দেশ দুটির মধ্যে চুক্তি হয়। একই বছর যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হয়। প্রায় ৬০ বছর পর কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিউবা সফরে যান। 

/এসএ/