উল্লেখ্য, বুধবার রাতে পশ্চিম লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুন লাগে। রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনের তাণ্ডবে ভবনটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
লন্ডন পুলিশের কমান্ডার স্টুয়ার্ট কান্ডি নিখোঁজের সংখ্যা জানিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, নিখোঁজ ৫৮ জনের মধ্যে এ পর্যন্ত ৩০ জন নিহত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। যা এরই মধ্যে জানানো হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিবিসির ধারণা নিহতের সংখ্যা অন্তত ৭০ জন হবে।
ওই অগ্নিকাণ্ডের পর ব্যাপক চাপের মধ্যে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। শনিবার তিনি বলেন, ‘যদিও আমাদের জরুরি সেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। কিন্তু ওই অগ্নিকাণ্ডের পর আক্রান্তদের সহায়তায় যেভাবে এগিয়ে আসা দরকার ছিল, তা করা হয়নি। পর্যাপ্ত সহায়তা তাদের দেওয়া হয়নি।’
অগ্নিকাণ্ডে ঘরহারা মানুষজন এবং স্বেচ্ছাসেবীরা ডাউনিং স্ট্রিটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এরপরই থেরেসা মে ওই কথা জানান।
তবে থেরেসা মের ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে পার্লামেন্টের আগুন বিষয়ক সর্বদলীয় কমিটির প্রধান রনি কিং বলেন, ‘আমরা মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় বছরের পর বছর ধরে এ সম্পর্কে সতর্ক করেছি, কিন্তু তারা কোনও ব্যবস্থা নেননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের হয়তো আইনে পরিবর্তন আনতে একটি বিপর্যয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তারা বাস্তব প্রমাণ ও অভিজ্ঞতা থেকে সে সিদ্ধান্ত নেননি। একই ঘটনা ঘটেছে কিং’স ক্রস এবং ব্র্যাডফোর্ড সিটি ফুটবল ক্লাবের আগুনের ক্ষেত্রেও। কোনও পরিবর্তনের জন্য তাদের বহু মানুষের আত্মাহুতি দরকার হয়।’
কিং জানান, বহুবার বৈঠকের চেষ্টা করা হলেও থেরেসা মের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ও তৎকালীন আবাসনমন্ত্রী গ্যাভিন বারওয়েল তা নাকচ করে দেন। কিং বলেন, “আমাদের মধ্যে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ হয়েছে। আর বহুবার তিনি বৈঠক এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বলেছেন, ‘আপনি আমাদের পূর্ববর্তী আবাসনমন্ত্রী জেমস হোয়ারটনের সঙ্গে দেখা করেছেন। আমরা এ সম্পর্কিত বেশকিছু বিষয়ে কাজ করছি। আমরা এখনও এ নিয়ে কাজ করছি।’”
তিনি আরও বলেন, ‘তারা রাজনীতিবিদ আর আমি পেশাগতভাবে আগুন বিষয়ক উপদেষ্টা। আমি জানি, তাদের অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কিন্তু তারা সবসময় বহু মানুষের মৃত্যুর পরই পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে যান।’
/এসএ/