মধ্যপ্রদেশে দুই সপ্তাহে ১৫ কৃষকের আত্মহত্যা

ঋণের দায়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে কৃষকভারতের মধ্যপ্রদেশে কৃষক আত্মহত্যা বেড়েই চলেছে। ১৯ তারিখ ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করেছেন আরও তিন কৃষক। ৮ জুন থেকে এখন পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেন মোট ১৫ জন কৃষক। এর ফলে চাপে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ খবর জানিয়েছে।

সোমবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর নিজ জেলা সেহোরের জামুনিয়া খুর্দ গ্রামে বংশীলাল মিনা নামে ৫৫ বছরের এক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। এ জেলা থেকে এবার আত্মহত্যা করেছেন পাঁচজন।   বংশীলালের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১১ লাখ টাকা ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

সায়র বামোর গ্রামে আত্মহত্যা করেছেন ৩৫ বছর বয়সী কৃষক জীবন সিং মিনা। দুপুরে পিলিয়া ব্যাস গ্রামে পেয়ারেলাল ওয়াদ নামে ৬০ বছর বয়সী এক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আড়াই লাখ টাকার ঋণ তার ঘাড়ে ছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রেই মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

বিজেপি শাসিত এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান রয়েছেন চাপের মুখে। মোদি সরকারের কৃষি নীতিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি মন্তব্য করেছেন, ‘মোদি সরকার কৃষক মুক্ত ভারত তৈরি করতে চাইছে।’ কেন্দ্রের সমালোচনা করতে গিয়ে সিন্ধিয়া টেনে এনেছেন কৃষকদের প্রাপ্য ন্যূনতম সাহায্য মূল্যের (এমএসপি) প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর কৃষকদের সাহায্য মূল্য খরচের ৫০ শতাংশ করার কথা বলেছিলেন মোদি। কিন্তু প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি।

সিন্ধিয়া আরও বলেন, ‘আসলে শিবরাজ সিং চৌহান কৃষকদের অবস্থা নিয়ে উদাসীন, কারণ কেন্দ্রীয় সরকারও চাইছে না অবস্থার উন্নতি।’ কৃষকরা ঋণের অর্থ মওকুফ করে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছেন।  

ভারতে কৃষকের আত্মহত্যা অবশ্য নতুন কোনও বিষয় নয়। মেরিল লিঞ্চ সংস্থার একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানা যায়, গোটা ভারতের অনাদায়ী কৃষি ঋণ প্রায় ৩ লাখ কোটি রুপি। এই ঋণের চাপে জর্জরিত হয়ে কৃষকেরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সরকারি হিসেবে আত্মঘাতী কৃষকের সংখ্যা তিন লাখ ১৮ হাজার ৫২৮।

/এসএ/