আগে অবরোধ প্রত্যাহার, তারপর আলোচনা: কাতার

কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানিআরোপিত অবরোধ প্রত্যাহার না করলে প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সঙ্গে কোনও আলোচনায় যাবে না কাতার। পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল-থানিকে উদ্ধৃত করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে বাণিজ্যিক, ভ্রমণ এবং সীমান্ত খাতে মধ্যপ্রাচ্যের ৬ প্রতিবেশি রাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারকে আলোচনার শর্ত হিসেবে দাঁড় করিয়েছে তারা।

সোমবার কাতারের সেনাবাহিনী তুরস্কের সেনাবাহিনীর সঙ্গে এক মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছে। এরপর দোহায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি বলেন, থানি বলেন, ‘কাতার অবরুদ্ধ। এ অবস্থায় কোনও আলোচনা হতে পারে না। তারা অবরোধ তুলে নিলে আলোচনা শুরু হবে। আমরা এখন পর্যন্ত অবরোধ তুলে নেওয়ার কোনও অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। অবরোধ তুলে নেওয়ার শর্তেই আমরা যে কোনও আলোচনার সিদ্ধান্ত নেব।

সন্ত্রাসবাদে অথনৈতিক সহযোগিতার অভিযোগ তুলে সৌদি আরবের নেতৃত্বে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন আরব আমিরাত, বাহরাইন, মিশর, ইয়েমেন, লিবিয়া ও মালদ্বীপ। পরে এতে যোগ দেয় মৌরিতানিয়া এবং সেনেগাল। জর্দান ও জিবুতি সীমিত আকারে কূটনৈতিক সম্পর্ক রেখেছে দোহার সঙ্গে। কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, কাতার এ পর্যন্ত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের কাছ থেকে আলোচনার কোনও ইঙ্গিত পায়নি। আরব জোটকে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন দেশগুলো অবরোধ তুলে না নিলে কাতার বিকল্প জোট বাঁধবে। এতে সৌদি আরবের আঞ্চলিক শত্রু ইরানও থাকতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি।

আল-থানি বলেন, ‘আমাদের এক ধরনের বিকল্প পরিকল্পনা আছে। যেটা মূলত নির্ভর করছে তুরস্ক, কুয়েত ও ওমানের ওপর। ইরান আমাদের তাদের আকাশপথ ব্যবহারের সুবিধা দিয়েছে। আর যে দেশ কাতারকে পণ্য সরবরাহ করতে সহায়তা করবে, কাতারও সব সময় তাদের পাশে থাকবে।’

/এসএ/বিএ/