ব্রিটেনের নতুন পার্লামেন্টে 'কুইন্স স্পিচ'

ব্রিটেনের নতুন পার্লামেন্টে ভাষণ দিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। হাউস অব লর্ডস-এ ব্রিটেনের স্থানীয় সময়  ১১টা ৩০ মিনিটে ভাষণ শুরু করেন তিনি। পার্লামেন্টের বাৎসরিক অধিবেশন শুরুর দিনে তিনি থেরেসা মে'র নেতৃত্বাধীন সংখ্যালঘু সরকারের পক্ষে ২৭টি খসড়া আইন প্রস্তাব করেন। এরমধ্যে আটটি ব্রেক্সিট সংক্রান্ত বিল। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের বাৎসরিক অধিবেশনের শুরুতে সরকারের পক্ষে রানি যে বিল ও নীতি উপস্থাপন করেন তাকে কুইন্স স্পিচ বলা হয়।
গত ১৯ জুন এই ভাষণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে এর কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র আভাস দেন ভাষণটি পিছিয়ে যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে'র মুখপাত্রের বরাত দিয়ে প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান তখন জানায়, সরকার গঠনে উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টিকে রাজি করাতে কনজারভেটিভদের আরও সময় দিতে চান রানি। সে কারণেই নির্ধারিত দিনের কয়েকদিন পর এই ভাষণ অনুষ্ঠিত হবে। তবে সেই দিনটি কবে, তা জানানো হয়নি।

৮ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর তুমুল চাপে রয়েছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ নেতা থেরেসা মে। হাউস অব কমন্সে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিতের জন্য কনজারভেটিভদের ডিইউপি’র এমপিদের সমর্থন প্রয়োজন। নির্বাচনে ডিইউপি পেয়েছে ১০টি আসন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিতে কনজারভেটিভদের প্রয়োজন ৮টি আসন। আর তাই সমর্থন নিশ্চিতে দলটির সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ডাউনিং স্ট্রিট। এখনও ডিইউপি'র সঙ্গে সমঝোতা হয়নি। তাই কনজারভেটিভদের সংখ্যালঘু সরকারের পক্ষেই নতুন আইনের খসড়া প্রস্তাব উপস্থাপন করেন রানি। 
কুইন্স স্পিচে উপস্থাপিত নতুন সরকারের খসড়া আইনের ওপর ভোটাভুটি হবে আগামী সপ্তাহে।  ডিইউপি সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে,  সেইদিন ডিইউপির সমর্থন মিললেও মিলতে পারে।
পরবর্তী দুই বছরের নীতি নির্ধারণ করা হবে রানির এই ভাষণের মধ্য দিয়ে। ভাষণে ব্রেক্সিট অভিবাসন আর সন্ত্রাসবাদ প্রশ্ন আলোচিত হয়।

/এফইউ /বিএ/