উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন ৬৫ বছর বয়সী পার্ক জিউন-হাই। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে। পার্কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি তার বন্ধুকে দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেন।
অভিযোগ রয়েছে, চোই সুন-সিল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদানের নামে ৬৫.৫ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেন। এর মধ্যে স্যামসাং এবং হুন্দাই-এর মতো কোম্পানিও রয়েছে। ওই অর্থ সন্দেহভাজন একটি ফাউন্ডেশনের নামে নেওয়া হয়। পরে তিনি সেখান থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হন।
দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহোপ জানিয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শুক্রবার চোই সুন-সিলকে আদালত তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ের পরীক্ষার নম্বর বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি ঘুষ দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সাবেক কর্মকর্তাকেও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্যামস্যাংসহ অন্যান্য বড় কোম্পানি থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি সত্যি প্রমাণিত হলে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে পার্কের। ১০ মার্চ পার্লামেন্টে অভিশংসিত হন পার্ক। তখনই আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ৩০ মার্চ আদালতের আদেশে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৭ এপ্রিল সাংবিধানিক আদালতে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাচ্যুত হন পার্ক।
/এসএ/