কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সম্প্রচার কার্যক্রম বন্ধ করতে দোহার ওপর চাপ জোরালো করেছে সৌদি আরবসহ চার মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশ। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্ত হিসেবে ১০ দিনের মধ্যে সংবাদমাধ্যমটি বন্ধ করতে বলেছে তারা। কাতারের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের চলমান উত্তেজনা নিরসনে দোহার কাছে চার আরব দেশের পাঠানো ১৩টি শর্তের একটি হলো আলজাজিরা বন্ধ করে দেওয়া।
আলজাজিরা বন্ধ করে দেওয়াসহ কাতারের কাছে ১৩ দফা শর্তবিশিষ্ট একটি তালিকা পাঠিয়েছে সম্পর্ক ছিন্নকারী চার আরব দেশ। সেইসঙ্গে বলে দেওয়া হয়েছে, কাতার যদি আরব দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহার চায় তবে অবশ্যই এ ১৩টি শর্ত পূরণ করতে হবে। ওই শর্তের তালিকার একটি কপি হাতে পাওয়ার দাবি করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরটি জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ‘যুক্তিসঙ্গত ও কার্যকর’ দাবি-দাওয়া পেশ করার জন্য কাতারের প্রতিবেশী দেশগুলোকে আহ্বান জানান। এরপর আহ্বান জানানোর পর শর্তগুলো পাঠানো হলো। সেখানে কাতারকে আলজাজিরা বন্ধ করে দেওয়া ছাড়াও ১০ দিনের মধ্যে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক হ্রাস ও তুরস্কের একটি সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করতে বলা হয়েছে। আলজাজিরার পাশাপাশি আরাবি ২১ এবং মিডল ইস্ট আইসহ অন্য কিছু সংবাদমাধ্যমেও তহবিল বনেধর শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
চার আরব দেশের একটির সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, কাতারকে আইএস, আল-কায়েদা এবং হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলা হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শর্তগুলো মানা না মানার ব্যাপারে কাতারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি এর আগে বলেছিলেন, শাস্তিমূলক পদক্ষেপ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা আলোচনায় যাবেন না।
গত ৫ জুন জঙ্গিবাদে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ। প্রথমে সৌদি আরব ও বাহরাইন সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং পরে তাদের ধারাবাহিকতায় মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লিবিয়া এবং ইয়েমেনসহ আরও কয়েকটি দেশ কাতারের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেয়। ইয়েমেনে কথিত সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধের আরব জোট থেকেও বাদ দেওয়া হয় কাতারকে।
/এফইউ/বিএ/