কাবাঘরের 'আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা নস্যাত', অভিযান অব্যাহত

ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী মুসলিম সম্প্রদায়ের পবিত্রতম  স্থাপনা কাবা শরিফে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল; দাবি করেছে সৌদি আরব। ওই হামলার পরিকল্পনা রুখে দেওয়ার দাবি করেছে তারা। সরকারি সূত্র বলছে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান এখনও চলছে, এক নারীসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
সৌদিতে আত্মঘাতী পরিকল্পনা

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবা শরিফের চারপাশ ঘিরে রয়েছে সেখানকার মসজিদুল হারাম। আরব নিউজ বলছে, শুক্রবার মসজিদ এলাকার দুটি ভবনসহ মোট তিনটি এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষীরা অভিযান চালায়। বিবিসির প্রতিবেদনে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়েছে,  ভবনে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের মধ্যেই একজন আত্মঘাতী জঙ্গি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।

সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা জানায়, আল হারাম মসজিদ এলাকার যে দুটি ভবনে জঙ্গিরা অবস্থান নিয়েছিল সেগুলো আসিলাহ ও আজইয়াদ আল-মাসাফি এলাকায় অবস্থিত। এর একটিতে এক আত্মঘাতি জঙ্গিকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলার পর সে পুলিশের দিকে গুলি চালায়। পুলিশ পাল্টা গুলি চালানোর পর ওই জঙ্গি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দিলে ভবনটি ধসে পড়ে। এতে পাঁচ নিরাপত্তারক্ষীসহ ১১ জন আহত হয়।

সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই ঘটনায় ভবনটি বিধ্বস্ত হয়। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান এখনও চলছে, এক নারীসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তবে জঙ্গিদের পরিচয় বা তাদের পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়নি।

মক্কার বাইরে জেদ্দা থেকেও এক জঙ্গিকে আটকের কথা জানিয়েছে আরব নিউজ। এক গ্যাস স্টেশন থেকে সৌদি আরবের স্পেশাল ইমার্জেন্সি ফোর্সের সদস্যরা ওই জঙ্গিকে আটক করার পর তার বাড়ি থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে বলে জানানো হয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-এর দাবি, ওই জঙ্গিরা মসজিদ আল হারামের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছিল।

রমজান মাসের শেষ দশ দিনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কয়েক লাখ মানুষ ওমরাহ পালন করতে মক্কায় যান। হামলার ঘটনা সত্যি হলে, বিপুল জনসমাগমকে লক্ষ্য করেই হামলার দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে।

সুন্নি-অধ্যূষিত সৌদি আরবে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটির দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।এসব হামলার অধিকাংশই হয়েছে সংখ্যালঘু শিয়া এবং সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে মদিনায় মসজিদে নববীর কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় চার নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছিলেন।

/বিএ/