আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দিলেন ‘কাবাঘরে হামলার চেষ্টাকারী’!

মুসলিমদের পবিত্রতম ধর্মীয় স্থাপনা কাবা শরিফে আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল দাবি করে সৌদি আরব বলছে, ওই হামলার পরিকল্পনা রুখে দিয়েছে তারা। একজন হামলা-চেষ্টাকারী আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন বলে দাবি সে দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। সরকারি সূত্র বলছে, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান এখনও চলছে, এক নারীসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।




কাবাঘরের হামলাকারী আত্মঘাতী
অবরোধে কঠোর শর্ত আরোপ সত্ত্বেও কাতার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সৌদিকে সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে। হামলা-পরিকল্পনার নিন্দা জানানো হয়েছে তেহরানের পক্ষ থেকে।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবা শরিফকে ঘিরে রয়েছে সেখানকার মসজিদ আল-হারাম। আরব নিউজ বলছে, শুক্রবার মসজিদ এলাকার দুটি ভবনসহ মোট তিনটি এলাকায় নিরাপত্তা রক্ষীরা অভিযান চালায়। বিবিসির প্রতিবেদনে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়েছে,  ভবনে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের মধ্যেই একজন আত্মঘাতী জঙ্গি বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।

নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল হারাম মসজিদ এলাকার যে দুটি ভবনে জঙ্গিরা অবস্থান নিয়েছিল সেগুলো আসিলাহ ও আজইয়াদ আল-মাসাফি এলাকায় অবস্থিত। এর একটিতে এক আত্মঘাতি জঙ্গিকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলার পর সে পুলিশের দিকে গুলি চালায়। পুলিশ পাল্টা গুলি চালানোর পর ওই জঙ্গি আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দিলে ভবনটি ধসে পড়ে। এতে পাঁচ নিরাপত্তারক্ষীসহ ১১ জন আহত হয়।

সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই ঘটনায় ভবনটি বিধ্বস্ত হয়। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান এখনও চলছে, এক নারীসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তবে জঙ্গিদের পরিচয় বা তাদের পরিকল্পনার বিষয়ে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়নি।

সুন্নি-অধ্যুষিত সৌদি আরবে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটির দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।এসব হামলার অধিকাংশই হয়েছে সংখ্যালঘু শিয়া এবং সৌদি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ্য করে। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে মদিনায় মসজিদে নববীর কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় চার নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছিলেন।

/বিএ/