শর্ত না মানলে একঘরে হতে হবে কাতারকে: আমিরাত

কাতার আরব দেশগুলোর দেওয়া আল্টিমেটাম গ্রহণ না করলে ‘একঘরে’ হওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাশ। তিনি বলেন, ‘এর কোনও বিকল্প নেই। বিকল্প একটাই, বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া। কারণ একসঙ্গে কাজ করাটা তখন খুবই কঠিন হবে।’download (2)

উল্লেখ্য, ১০ দিনের মধ্যে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বন্ধ করে দেওয়াসহ শুক্রবার কাতারের কাছে ১৩ দফা শর্তবিশিষ্ট একটি তালিকা পাঠায় সৌদি আরব,মিসর,সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন সেইসঙ্গে বলে দেওয়া হয়,কাতার যদি আরব দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার প্রত্যাহার চায় তবে অবশ্যই এ ১৩টি শর্ত পূরণ করতে হবে। শর্তে কাতারকে দেশটির সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে এবং ১০ দিনের মধ্যে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক হ্রাস ও তুরস্কের একটি সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করতে বলা হয়। এছাড়া মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন, কথিত সন্ত্রাসী হসন্তান্তর, সৌদি জোটের প্রতি আনুগত্য এবং আইএস-আলকায়েদা আর হিজবুল্লাহর মতো সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলা হয়েছে কাতারকে।  
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বলছে, শর্তগুলো কাতারের ২০ বছরের পররাষ্ট্রনীতি ভেঙে ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফলে এর প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল সম্পদের উপর প্রভাব ফেলবে। গার্গাশ দাবি করেন, কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার এই সংকট সমাধান করতে চান। কাতারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা পুরো দাবির তালিকা পড়ে দেখছে। কুয়েতের মাধ্যমে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবিষয়ে আনুষ্ঠানিক জবাব দেবে।

গারগাশ বলেন, কাতার বেধে দেওয়া ১০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে তারা দাবি মানছে না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। তবে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক ও বেশিরভাগ ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর কাতারের বিরুদ্ধে আর কি পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে সে বিষয়ে স্পষ্ট করেননি তিনি।

সূত্র: আল-জাজিরা

/এমএইচ/বিএ/