‘সিগারেটের আগুন’ থেকেই পাকিস্তানে ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণ: নিহত ১৪০

পাকিস্তানে তেলবাহী ট্যাংকার বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনসূত্রে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। ট্যাংকারের আশপাশে সিগারেট জ্বালাতে গিয়ে এই আগুন লেগেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম ডন নিউজের হিসেব অনুযায়ী ওই বিস্ফোরণে প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছেন। রেসক্যু ১১২২ এর মহাপরিচালক ডা. রিজিওয়ান নাসির জানিয়েছেন, আহতদের অধিকাংশের শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এ কারণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডন জানিয়েছে, আহতদের জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি বাহওয়াল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণ

 

ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে লরির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।  পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও উদ্ধারকাজে সহযোগিতা দিচ্ছে। এক টুইট বার্তায় উদ্ধার তৎপরতায় হেলিকপ্টার ব্যবহারের কথা জানিয়েছে তারা।

রোববার সকালে বাহাওয়ালপুরের আহমেদপুর শরকিয়ায় লড়িটি বিস্ফোরিত হয়। বাহাওয়ালপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রানা মোহাম্মদ সালিম আবদুলের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের ইংরেজি দৈনিক ডন জানিয়েছে,  দ্রুতগতির লরিটি একটি মোড়ে বাঁক নেয়ার সময় উল্টে যায় বলে জানিয়েছে ডন। ওদিকে জিও নিউজ জানিয়েছে, উল্টে যাওয়া লরিটি থেকে তেল চুইয়ে পড়া শুরু হলে সেই তেল সংগ্রহ করতে সেখানে নারী ও শিশুসহ বহু মানুষ জড়ো হয়েছিল। আর তখনই কোনোভাবে আগুন লেগে ট্যাংকারে বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী সূত্রগুলো। নিহতদের অধিকাংশই ঘটনাস্থলের আশপাশের বাসিন্দা, বাকিরা মহাসড়ক দিয়ে যাতায়তরত পথচারী ও গাড়ির আরোহী।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ডন নিউজ জানিয়েছে, উল্টে পড়া লরিটির কাছে কয়েকজন ধূমপান করছিল, সেখান থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে। বিবিসির খবরেও ধূমপানকে বিস্ফোরণের প্রধান কারণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। ঘটনায় ৭৫টি মোটরসাইকেল ও চারটি গাড়িসহ বহু যানবাহন পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে জিও নিউজ।

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও মহাসড়কটি বন্ধ রয়েছে। নিহত কয়েকজনের দেহ বিস্ফোরণে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া যানবাহনের অংশে সঙ্গে জুড়ে আছে বলে উদ্ধার কাজ শেষ হতে সময় লাগছে। সনিহতদের শরীর মারাত্মকভাবে পুড়ে যাওয়ায় ডিএনএ নমুনা ছাড়া তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী সূত্রগুলো।

বাহাওয়ালপুর ও লাহোরের মধ্যে যোগাযোগের প্রধান এই সড়কটি বন্ধ রয়েছে। দুটি বিকল্প পথ চালু করেছে পুলিশ। সোমবার পাকিস্তানের অনেক এলাকায় ঈদুল ফিতর পালন করা হবে। ঈদের আগে মহাসড়কে অতিরিক্ত গাড়ি ও লোজনের চাপ সামাল দিতেই বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ।

/বিএ/