উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলায় গুরুত্বারোপ যুক্তরাষ্ট্রের

উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলায় আবারও গুরুত্বারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টেরি ব্র্যানস্টাড বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের একটা প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলা করা। দায়িত্ব গ্রহণের পর সোমবার চীনা নাগরিকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

ভিডিও বার্তায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক বৈষম্যের সমাধান, উত্তর কোরিয়ার হুমকি থামানো এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক বাড়ানোই আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার।

যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর টেরি ব্র্যানস্টাড তার বার্তায় চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের পুরনো বন্ধু হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

চলতি বছরের ২৪ মে চীনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে টেরি ব্র্যানস্টাডের নিয়োগ চূড়ান্ত করে ট্রাম্প প্রশাসন।

এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনও আঘাত মোকাবিলায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দেয় উত্তর কোরিয়া। দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হান সং রিয়ল মার্কিন বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

হান সং রিয়ল অভিযোগ করেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট আগ্রাসী টুইটবার্তার মাধ্যমে সমস্যা তৈরি করছেন। মার্কিন প্রশাসন অসৎ উদ্দেশ্যে উপদ্বীপের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করছে।’

হান আরও বলেন, আমাদের শক্তিশালী পারমাণবিক বোমা রয়েছে। আর মার্কিন হামলার মুখেও আমরা নিশ্চিতভাবেই সে অস্ত্র হাতে নিয়ে বসে থাকবো না। মার্কিন বাহিনী যেভাবে আক্রমণ করবে, আমরা তার সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।

গত ৫ এপ্রিল জাপান সাগরে একটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে উত্তর কোরিয়া। এর আগে ৬ মার্চ উত্তর কোরিয়ার চীন সীমান্তের নিকটবর্তী তংচ্যাং-রি অঞ্চল থেকে জাপান সাগরে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। তখন দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তা সংস্থা ইয়োনহ্যাপ জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সম্ভবত আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম।

পারমাণবিক ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম চালানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এবং জাতিসংঘ বেশ কয়েকবার নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও ওই কার্যক্রম থেকে সরে আসেনি উত্তর কোরিয়া।

/এমপি/