পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র 'নাসর'-এর সফল পরীক্ষা

পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষুদ্রপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ‘নাসর’ এর সফল পরীক্ষা চালানোর দাবি করেছে পাকিস্তান। এক বিবৃতিতে দেশটির সামরিক বাহিনী ‘নাসর’ নামের ওই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে। পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠানে দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া উপস্থিত ছিলেন।পাকিস্তানি ক্ষেপণাস্ত্র `নসর`
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসেইন এবং প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ দু জনই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। সফল উৎক্ষেপণে বিজ্ঞানীদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন তারা। 
সামরিক বিবৃতির বরাত দিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, পরমাণু বোমা বহন করে ৭০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যে এ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হানা যাবে। দ্রুত মোতায়েনযোগ্য ‘নাসর’ ক্ষেপণাস্ত্রের সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানার সক্ষমতা রয়েছে। ভারতের নামোল্লেখ না করে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, এই পরীক্ষা বিরাজমান হুমকি মোকাবেলার সক্ষমতা বাড়াবে। 
উৎক্ষেপণ অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া বলেন, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ইসলামাবাদ যে কোনও পথ বেছে নেবে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আমরা বোঝাতে চেয়েছি যুদ্ধকে বেছে নেয়ার কোনো ইচ্ছা পাকিস্তানের নেই। সংলাপের মাধ্যমে শান্তি স্থাপনে সরকারের তৎপরতাকে সেনাবাহিনী আন্তরিকভাবে সমর্থন করে বলেও জানান তিনি। উঁচু মাত্রায় সামরিকীকরণ এবং যুদ্ধবাজ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে শান্তির নিশ্চয়তা দেয়া পাকিস্তানের কৌশলগত সক্ষমতা বলে তিনি উল্লেখ করেন।বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, পাকিস্তানের কৌশলগত সক্ষমতা উঁচু মাত্রায় সামরিকীকরণ এবং যুদ্ধবাজ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।
পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা দিল্লি-ইসলামাবাদ দ্বন্দ্বকে তুঙ্গে নিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৯৯৮ সালে পাকিস্তান পরমাণু সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং ভারত অর্জন করেছে ১৯৭৪ সালে। এরপর থেকে দু দেশই নিয়মিতভাবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়ে আসছে।
সূত্র: ডন, ইন্ডিয়া টুডে
/বিএ/