কাশ্মিরে জারিকৃত কারফিউ তুলে নিলো প্রশাসন

 

নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত কাশ্মিরের স্বাধীনতাকামী তরুণ বুরহান ওয়ানি’র মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সহিংসতার আশঙ্কায় কাশ্মিরে জারি করা কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে। রবিবার কারও চলাচল কিংবা জনসমাবেশে কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তা।

anniversary-government-mujahiddin-authorities-authorities-paramilitary-associates_31783544-6476-11e7-b1de-0034c3d6ea80

ওই কর্মকতা দাবি করেন, ‘শনিবার কয়েকটি পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। তবে বড় কিছু ঘটেনি এবং পুরো এলাকা শান্তিপূর্ণ রয়েছে ও আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তানস টাইমসের প্রতিবেদনে জানা যায়, শোপিয়ান শহরে এক পাখর ছোঁড়ার ঘটনায় এক নারী আহত হয়ছেন।  

বুরহান ওয়ানি’র মৃত্যুবার্ষিকীতে উপত্যকাজুড়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছিলো।  গণবিক্ষোভ ঠেকাতে কঠোর সর্তকতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে শনিবার রাজ্যে কারফিউ জারি করে স্থানীয় প্রশাসন, রাজপথে মোতায়েন করা হয় হাজার হাজার সেনাসদস্য। নিরাপত্তা রক্ষার নামে ভারত সরকার কাশ্মিরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। বুরহান ওয়ানির নিজ জেলা ত্রালে যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ এড়াতে কাশ্মির বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

তবে এমন পরিস্থিতিতেও কারফিউ উপক্ষা করে বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী তরুণরা। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিবর্ষণ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপের মধ্যেই তারা রাজপথে নামেন।

২০১৬ সালের ৮ জুলাই মাসে বন্দুকযুদ্ধের নামে বুরহান ওয়ানিকে হত্যা করে ভারতীয় সেনারা। ওই হত্যকাণ্ডের পর কাশ্মিরের জনগণ প্রতিবাদে ফুঁসে উঠে। এ হত্যাকাণ্ডের জেরে এ পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ প্রায় ১০০ জন নিহত ও ১২ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। 

শনিবার সৈয়দ আলি শাহ গিলানির নেতৃত্বাধীন হুরিয়াত কনফারেন্স ফ্যাকশন ইয়াসিন মালিক নেতৃত্বাধীন জেকেএএফ হরতাল ডাকে।কাশ্মিরের দক্ষিণে শোপিয়ান, উত্তরে ত্রেহগামসহ শ্রিনগরের ৫টি পুলিশ স্টেশনের এলাকায় এই কারফিউ জারি ছিলো। রবিবার কারফিউ তুলে নেওয়ার পর দোকানপাট খুলতে শুরু করে। স্বাভাবিক হতে থাকে যানবাহন চলাচলও। 

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

/এমএইচ