ভেনেজুয়েলায় বিরোধীদের গণভোটে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ১

 

ভেনিজুয়েলায় সংবিধান সংশোধনী ইস্যুতে ভোট দেওয়ার সময় বন্দুকধারীর গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬১ বছরব বয়সী এক নারী। রবিবার দেশটির রাজধানী কারাকাসে মোটরবাইকে করে এসে গুলি চালানো হয় তার উপর। এই ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির  প্রতিবেদনে বলা হয়, ভেনেজুয়েলা রাজনৈতিক সংকটে রয়েছে। চলতি বছর এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ।

_96967076_mediaitem96967075

শিওমারা সোলেদাদ স্কট নামে নারীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা যান। এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির আইনজীবীরা। এদিকে অপহরণের শিকার হয়েছেন সাংবাদিক লুইস ওলাভারিয়েতা।  তার বেদম মারধর করা হয়। তবে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।

রবিবার ভোটে অংশ নেয় ৭০ লাখেরও বেশি ভেনেজুয়েলান। সাবেক প্রেসিডেন্ট চ্যাভেজের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো দ্রুত জনপ্রিয়তা হারাতে থাকেন। মাদুরো জুলাই মাসের শেষ দিকে একটি জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদের জন্য প্রতিনিধি নির্বাচনের পরিকল্পনা করেছেন।  বিরোধিরা এই প্রতিনিধি নির্বাচনের বিরোধিতা করে গণভোট আয়োজন করেছে। এতে প্রশ্ন রাখা হয়েছে, ভোটাররা আসলেই একটি নতুন সংবিধান চান কিনা।

রকার এই গণভোটকে স্বীকৃতি দেয়নি।  গণভোট পর্যবেক্ষণ করার জন্য শনিবার বেশ কয়েকজন সাবেক লাতিন আমেরিকান নেতা রাজধানী কারাকাসে এসেছেন। যেসব ভেনেজুয়েলান বিদেশে থাকেন তারাও ভোট দিতে পারবেন।  

গত কয়েক মাস ধরেই ভেনেজুয়েলায় প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে। এ পর্যন্ত বিক্ষোভে  নিহত হয়েছেন শতাধিক ও আহত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার। এ নির্বাচন অবশ্য পুরোপুরিই প্রতীকী। বিরোধী দল বলছে, এটার মাধ্যমে তারা জনগণের মতামত নিচ্ছে যে সরকারকে আসলেই সংবিধান পরিবর্তনের উদ্যোগ নিতে দেওয়া যায় কিনা।

সরকার একটি নতুন সংবিধান চাইছে। মাদুরোর মতে,  দেশকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট থেকে টেনে তোলার এটাই একমাত্র উপায়। কিন্তু এ পরিকল্পনার ফলে ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে।


/এমএইচ