ইরানে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সেই মার্কিনির মুক্তি দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

ইরানে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মার্কিন নাগরিকের মুক্তি দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নিজ দেশের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ওই মার্কিনিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে তেহরান।

বিচার বিভাগের মুখপাত্র গোলাম-হোসেইন এজেয়িকে উদ্ধৃত করে তেহরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পার্স টুডে জানিয়েছে, অনুপ্রবেশকারী মার্কিন এজেন্টের আমেরিকা এবং অন্য একটি দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে। তাকে শনাক্ত এবং গ্রেফতার করেছে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয়। অবশ্য এ ব্যক্তিকে সরাসরি আমেরিকা নির্দেশ দিয়েছে বলে জানালেও তার নাম প্রকাশ করেননি এজেয়ি। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রথম দফায়ই গ্রহণ করেছে আদালত এবং ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে বলেও জানান তিনি। বলেন, কারাদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার পরই এ মামলার বিষয়ে আরো তথ্য প্রকাশ করা হতে পারে।

একইদিনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অবিলম্বে ইরানে অন্যায়ভাবে আটক থাকা মার্কিন নাগরিকের মুক্তি দাবি করছি যেন তিনি স্বজনদের কাছে ফিরতে পারেন।’

ইরানের অনলাইন বার্তা সংস্থা মিজান জানিয়েছে, গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম শিই ওয়াং এবং চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। গোপন তথ্য হাতিয়ে নেয়ার জন্য ইরানের গবেষণা সংস্থা এবং নির্ভরযোগ্য মহাফেজখানাগুলোতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছে শিই ওয়াং। প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের শারমিন অ্যান্ড বিজান মোসাভার-রাহমানি সেন্টার ফর পারসিয়ান গালফ স্টাডিজের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তার ওপর এ নজরদারি রাখা হয়েছিল। মিজান জানিয়েছে, এ কেন্দ্রটির সঙ্গে ইঙ্গ-মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

বার্তা সংস্থা মিজান-এর খবর অনুযায়ী, গ্রেফতার হওয়ার আগ পর্যন্ত ইরানে থাকাকালীন সময়ে শিই প্রায় সাড়ে হাজার ডিজিটাল পৃষ্ঠা হাতিয়ে নিতে পেরেছিল। তবে তার ওপর সব সময়ই নজরদারি বজায় ছিল। গবেষকের ছদ্মবেশে ইরানে ঢোকার পর থেকেই তার ওপর কঠোর নজরদারি বজায় রাখা হয়েছিল।

/বিএ/