১১ মাসে বাংলাদেশের আমদানি বেড়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা

২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের (জুলাই ২০১৬-জুন ২০১৭) প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশের আমদানির পরিমাণ ১১.৮৩ শতাংশ বেড়ে ৪ হাজার ১শ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়া ৪৩৪ কোটি (প্রায়) ডলার মূল্যমানের আমদানি বৃদ্ধির খবর জানিয়েছে। বাংলাদেশের মুদ্রার মান অনুযায়ী যা প্রায় ৩৫ হাজার কোটি (৩৪,৯৯৫.৬ কোটি) টাকার সমান। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা শিনহুয়ার কাছে দাবি করেন, প্রধান প্রধান খাদ্যের আমদানি বেড়ে যাওয়ার কারণে মোট আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকারও আভাস দিয়েছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।


noname

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য উদ্ধৃত করে ওই কর্মকর্তারা বলেন, জুলাই-মে মাস সময়ের মধ্যে সত্যিকারের আমদানি হিসেবে পরিচিত ঋণপত্রের নিষ্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০,৯৯৮.৪৮ মিলিয়ন ডলারে। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩৬,৬৬১.৪৪ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-মে মাস সময় পর্যন্ত সার্বিক আমদানির ঋণপত্রের পরিমাণ ১৩.৯৭ শতাংশ বেড়েছে। সার্বিক আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলার আর্থিক পরিমাণ বেড়ে জুলাই-মে মাসে ৪৪,১১৮.৭১ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের একই সময়ে ঋণপত্রের পরিমাণ ছিল ৩৮.৭১১.৮৯ মিলিয়ন ডলার।

শিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১৭ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেওয়ায় সরকারকে বিপুল পরিমাণে খাদ্যশস্য আমদানি করার প্রয়োজন হবে। আর এতে বাংলাদেশের আমদানি বাড়তে থাকবে।

নাম প্রকাশ না করে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, “সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রধান প্রধান খাদ্য আমদানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে সার্বিক আমদানিও বেড়েছে।”

বাংলাদেশ কর্মকর্তারা শিনহুয়াকে জানান, ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে দেশের একটি বিশাল অংশের বসতি এলাকা, শস্য, সড়ক এবং মহাসড়কগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা জানান, রিজার্ভ পরিপূর্ণ করতে এবং চালের দামের লাগাম টেনে ধরতে মে মাসে ৬ লাখ টন প্রধান খাদ্যশস্য আমদানির ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

দেশের বাজারে প্রধান খাদ্যশস্যের দামের অস্থিতিশীলতা কাটাতে গত মাসে চালের আমদানি শুল্ক ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করে সরকার। দুই দেশের সমঝোতার অংশ হিসেবে ১৪ জুন ভিয়েতনাম থেকে ২,৫০,০০০ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার।

খাদ্যের দাম বিশেষ করে প্রধানতম খাদ্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের মূল উদ্বেগের কারণ। কারণ ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৩১.৫ শতাংশ এখনও জাতীয় দারিদ্র্যসীমা রেখার নিচে বাস করেন। তাদেরকে আয়ের বড় একটা অংশ খাদ্য কেনার জন্য ব্যয় করতে হয়।

/এফইউ/বিএ/