আল আকসা প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি তাণ্ডবের নিন্দা তুরস্কের

জেরুজালেমের পবিত্র আল আকসা প্রাঙ্গণে মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি তাণ্ডবের নিন্দা জানিয়েছে তুরস্ক। ১৮ জুলাই ২০১৭ মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের পর চালানো ওই হামলায় অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে জেরুজালেমের আধ্যাত্মিক নেতা শেখ ইকরিমা সাবরি-ও রয়েছেন। তার শরীরে ইসরায়েলি বাহিনীর ছোঁড়া রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়েছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তুরস্কের উপ প্রধানমন্ত্রী নুমান কুরতুলমুস বলেছেন, এ মসজিদ বন্ধ করে দেওয়া মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

বুধবার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে হামলার কঠোর সমালোচনা করেছেন তুরস্কের ধর্মমন্ত্রী মেহমেত গোরমেজ। তিনি বলেছেন, আল আকসা মসজিদ এবং এর চারপাশে যেসব ঘটনা ঘটছে তা যে কোনও বিবেকবান মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করবে।

দখলদার বাহিনীর তাণ্ডবের কারণে সম্প্রতি আল আকসা কম্পাউন্ডে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মঙ্গলবারের হামলায় রাবার বুলেট ব্যবহারের কথা অবশ্য অস্বীকার করেছেন ইসরায়েলি পুলিশের মুখপাত্র।

১৪ জুলাই ২০১৭ শুক্রবার মসজিদটিতে জুমার নামাজ আদায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইসরায়েল। এক পর্যায়ে রবিবার কড়া পাহারায় মসজিদ খুলে দেওয়া হয়। বিধিনিষেধের কারণেই অনেকেই ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে মসজিদ ভবনের বাইরে নামাজ আদায় করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, জোরালো আওয়াজের মধ্যেই মানুষজন দৌড়াচ্ছেন।

মঙ্গলবারের এ তাণ্ডবের জন্য উল্টো ফিলিস্তিনিদেরই দায়ী করেছে ইসরায়েল। বরাবরের মতোই এবারও ইসরায়েলের দাবি, নামাজের পর মুসল্লিরা পাথর ও বোতল ছুঁড়ে মারলে পাল্টা জবাব দেয় ইসরায়েলি পুলিশ।

ইসরায়েলি পুলিশের মুখপাত্র মিকি রোজেনফেল্ড বলেন, নিয়মিত পুলিশ সদস্যরাই মঙ্গলবার জেরুজালেমের পুরনো শহরে দায়িত্ব পালন করেছেন। সংঘর্ষ চলাকালে তারা স্টান গ্রেনেড ব্যাবহার করেছেন।

/এমপি/