১৯৯৭-সালে কে আর নারায়ণনের পর ভারতের দ্বিতীয় দলিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে আগামী ২৫ জুলাই শপথ নেবেন রামনাথ কোবিন্দ। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষ ছিলেন দলিত সম্প্রদায়ের আরেক সদস্য মীরা কুমার। ১০ নম্বর আকবর রোড থেকে বিজয়ী ভাষণে নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি কোবিন্দ। একইসঙ্গে স্মরণ করলেন রাজনীতির আঙিনায় তার পূর্বসূরিদেরও। বললেন, রামনাথ কোবিন্দ বলেন, এস রাধাকৃষ্ণণ, এপিজে আব্দুল কালাম এবং প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মতো বিশিষ্ট জনদের পদচিহ্ন অনুসরণ করাটা আমার জন্য সম্মানের।
নির্বাচিত হওয়ার পর রামনাথ কোবিন্দ বলেন, ‘এটা আমার কাছে অত্যন্ত আবেগময় মুহূর্ত। আমি সবার প্রতিনিধিত্ব করবো। নিজের রুটি-রোজগারের জন্য যারা প্রতিদিন লড়াই করছেন, আমি তাদের হয়েও প্রতিনিধিত্ব করবো। আমার এ জয় আসলে ভারতীয় গণতন্ত্রেরই জয়।’
উত্তর প্রদেশের অতি সাধারণ এক দলিত পরিবারে বেড়ে উঠা রামনাথের অনেক সহপাঠী স্কুলের গণ্ডিও পেরুতে পারেননি। তবে হাল ছাড়েননি রামনাথ। কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশনের পর আইন পাসের পর দিল্লি গিয়ে শুরু করলেন প্র্যাকটিস। এক পর্যায়ে বিজেপি’র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। দুই মেয়াদে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৮-২০০২ সাল পর্যন্ত বিজেপি’র দলিত মোর্চার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। অখিল ভারত কোলি সমাজের সভাপতি ছিলেন। ২০১৫ সালের ৮ আগস্ট বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি তাকে বিহারের রাজ্যপাল নিয়োগ করেন।
টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় রাজনাথ কোবিন্দ-কে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “২০ বছর আগে আর এই সময়... নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি, আপনার সঙ্গে পরিচয়টা সম্মানের।”পার্লামেন্ট থেকে বিভিন্ন রাজ্যের বিধায়কদেরও কোবিন্দকে ভোটদানের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদি।
বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ এই জয়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। কোবিন্দকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পরাজিত প্রার্থী মীরা কুমারও। তবে সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “এই কঠিন পরিস্থিতিতে সংবিধানের যথাযথ মর্যাদা রক্ষা করাটা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের।” সূত্র: আনন্দবাজার, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া।
/এমপি/