ইরাকিদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তে আবারও মার্কিন বিচারপতির স্থগিতাদেশ

এক হাজার চারশোরও বেশি ইরাকি নাগরিককে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তে দেওয়া সাময়িক স্থগিতাদেশটি বহাল রেখেছেন মিশিগানের ফেডারেল আদালত। সোমবার (২৪ জুলাই) মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট জাজ মার্ক গোল্ডস্মিথ ইরাকি নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানোর রায় দেন। এর আগে অন্তত ১০ জুলাই পর্যন্ত সিদ্ধান্তটি স্থগিত করার আদেশ দিয়েছিলেন তিনি।

ইরাকিদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
একে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ইরাকি নাগরিকদের জন্য বড় আইনি বিজয় বলে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এর মধ্য দিয়ে কয়েক মাস ইরাকিদেরকে ফেরত না পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত হলো বলেও উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি। অবশ্য, এ স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকার আপিল করবে কিনা সে ব্যাপারে এখনও জানা যায়নি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ হাজার ৪শ ৪৪ জন ইরাকিকে ফেরত পাঠানোর আদেশ রয়েছে। এদের মধ্যে ১৯৯ জনকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণের মতো অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। দেশটির ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট তাদের সরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এটা থামাতে সম্প্রতি একটি অভিযোগ দাখিল করে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন। তাদের সমর্থনেই রায় দেন মার্কিন ডিস্ট্রিক্ট জাজ মার্ক গোল্ডস্মিথ।

ওই অবৈধ ইরাকিদের বেশিরভাগই খ্রিস্টান, সুন্নি মুসলিম ও ইরাকি কুর্দি যারা ইরাকের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। ইরাকে ফেরত পাঠানো হলে তারা নির্যাতন ও হত্যার শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে মার্কিন সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়ন। তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেন গোল্ডস্মিথও। তিনি জানান, ‘এমন ঘটনা সরকার চায় না। তাই তাদের সরানো ঠিক হবে না।’ মার্কিন সিভিল লিবার্টিস ইউনিয়নের আবেদনে সাড়া দিয়ে সাময়িক স্থগিতাদেশটি দেন গোল্ডস্মিথ। আর সোমবার মিশিগানের ফেডারেল বিচারপতিও স্থগিতাদেশ দেন।

/এফইউ/