আল আকসা থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রত্যাহার করলো ইসরায়েল

আল-আকসা মসজিদ থেকে মেটাল ডিটেক্টর সরিয়ে নেওয়ার একদিন পর এবার বাকি ‘নিরাপত্তামূলক প্রতিবন্ধকতা’গুলোও সরিয়ে নিয়েছে ইসরায়েল। তুমুল বিক্ষোভ আর প্রতিরোধের মুখে অবশেষে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) আল আকসার প্রবেশ পথ থেকে নিরাপত্তা বেষ্টনী ও গেটগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রবেশ পথে থাকা উঁচু স্তম্ভগুলোও প্রত্যাহার করা হয়। নিরাপত্তার কথা বলে এগুলোতে এতোদিন ক্যামেরা লাগানো ছিল। এর আগে মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) প্রবেশ পথ থেকে মেটাল ডিটেক্টরগুলো সরিয়ে নেয় ইসরায়েল। এদিকে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তা প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে নেওয়াকে নিজেদের ‘বিজয়’ হিসেবে দেখছেন ফিলিস্তিনিরা। 

আল আকসা থেকে নিরাপত্তা প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে নেওয়ার ছবি
গত ১৪ জুলাই ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনার পর দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েল আল আকসা মসজিদের প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর বসায়। পরে ইসরায়েল ঘোষণা দেয়,মেটাল ডিটেক্টরের পাশাপাশি আল আকসার প্রবেশ পথে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এছাড়া গত কয়েক বছরের মধ্যে শুক্রবার জুমার নামাজে ফিলিস্তিনি তরুণদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইসরায়েল। এ পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ করেন ফিলিস্তিনিরা। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে বেশ কয়েক দফা হামলা চালায় ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনী। টানা কয়েকদিনের সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশো ফিলিস্তিনি।

কয়েকদিনের টানা উত্তেজনা চলার পর মঙ্গলবার মেটাল ডিটেক্টর সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। আর বৃহস্পতিবার তারা জানায়, আল আকসার প্রবেশ পথ থেকে অন্য নিরাপত্তা প্রতিবন্ধকতাগুলোও সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এ ঘোষণায় উল্লাসে মেতে ওঠেন ফিলিস্তিনিরা। এক ফিলিস্তিনি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে বলেন, “আজকের দিনটি একইসঙ্গে আনন্দের, উদযাপনের এবং বেদনার...যেসকল ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন কিংবা আহত হয়েছেন তাদের জন্য ব্যথিত বোধ করছি।”

/এফইউ/