ভারতের বিলম্বে স্থবির দক্ষিণ এশীয় কানেক্টিভিটি প্রকল্প

ছবি: ইন্টারনেটসীমান্তের বিরোধপূর্ণ দোকলাম অঞ্চল নিয়ে চীন ও ভারতের মধ্যে চলছে তীব্র উত্তেজনা। বিদ্যমান উত্তেজনার কারণে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন থেকে দূরে রয়েছে দিল্লি। অথচ মাত্র কয়েকদিন আগেই ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ আখাউড়া-আগরতলা রেলওয়ে লিংক চালুর জন্য জমি অধিগ্রহণ শুরু করেছিল ত্রিপুরার কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে কোনও আমলাতান্ত্রিক বাধাও নেই।

দুই দেশের মধ্যকার এ রেল সংযোগের ব্যাপারে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দীর্ঘদিন পর ২০১৬ সালে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। যৌথভাবে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বংলাদেশ ও ভারতের রেলমন্ত্রী মোহাম্মদ মুজিবুল হক এবং এস প্রভু।

দুই দেশের মধ্যে এই রেল সংযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই রেল লাইন চালু হলে উভয় পক্ষই এর সুবিধা পাবে। এটা ভারতের আগরতলা ও কলকাতার সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্ত করবে। এ পথের ভ্রমণের দূরত্ব এক হাজার ৬১৫ কিলোমিটার থেকে কমে দাঁড়াবে মাত্র ৫১৪ কিলোমিটার। স্বাভাবিকভাবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জ্বালানির সাশ্রয় হবে। দূরত্ব কমে যাওয়ায় গন্তব্যে যেতে সময়ও লাগবে অনেক কম।

দূরত্ব ও সময় কমে যাওয়ায় এ রেলপথ ব্যবহারে বাংলাদেশের রফতানিকারকরাও উপকৃত হবেন। কারণ এর ফলে তারা  দ্রুততম সময়ে কলকাতাসহ ভারতের অন্যান্য গন্তব্যে দ্রুত পণ্য পৌঁছাতে পারবেন। এছাড়া এ রেলপথ ব্যবহারে কৌশলগতভাবে, আসাম রাজ্যের মধ্য দিয়ে বর্তমান দীর্ঘ রুট পরিহার সম্ভব হবে। তাছাড়া রাজ্যটিতে প্রায়ই বোদস এবং অন্যান্য উপজাতীয় বিদ্রোহীদের তৎপরতা লক্ষ্যণীয়। শিলিগুঁড়ির নিকটবর্তী এলাকাটি এড়াতে পেরে ব্যবসায়ীরাও খুশি হবেন।

কলকাতাভিত্তিক একজন ট্রাভেল ট্যুর অর্গানাইজার বলেন, দক্ষিণ এশীয় কানেক্টিভিটি প্রকল্পে বাংলাদেশের ভ্রমণকারীরাও লাভবান হবেন। মণিপুরে পৌঁছাতে তারা মেঘালয়ের বর্ধিত সড়ক ব্যবহার করতে পারবেন। দক্ষিণ এশীয় কানেক্টিভিটি প্রকল্প অনুযায়ী সংযোগ সড়ক তৈরি হলে তারা ভারতের মোরেহ হয়ে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড বা মালয়েশিয়াও যেতে পারবেন।

/এমপি/