ইসরায়েলি হামলায় আহত ফিলিস্তিনি যুবকের মৃত্যু

 


আল-আকসাকে ঘিরে উত্তেজনায় পুলিশের গুলিতে আহত হওয়া ফিলিস্তিনি যুবকের ‍মৃত্যু হয়েছ। মঙ্গলবার মুহাম্মদ কানন নামে ওই যুকের মাথায় গুলি করে ইসরায়েলি পুলিশ। তিনদিন পর বৃহস্পতিবার রাতে তাকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসকরা।

Israel_Palestinians_S_1

আল-আকসা মসজিদের প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টরসহ নজরদারি ব্যবস্থার প্রতিবাদে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন কানন। হিজমা এলাকায় তার বাড়ির কাছেই গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, রামাল্লাহর ওয়েস্ট ব্যাংক শহরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ২৫ বছর বয়সী কানন। তিনদিন পর বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান তিনি।

১৪ জুলাই নিরাপত্তার অজুহাতে আল-আকসার প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর বসায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ৫০ বছরের কমবয়সী কাউকেও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ফিলিস্তিনের দাবি, আল-আকসা দখলের পায়তারা হিসেবেই তারা এই ব্যবস্থা নেয়। প্রতিবাদে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে ফিলিস্তিনিরা।

সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমতীর পর্যন্ত। ফিলিস্তিনের বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ফিলিস্তিনিদের। সেই সংঘর্ষেই এখন পর্যন্ত কানন সহ ৫জনের মৃত্যু হলো।

২২ জুলাই জেরুজালেমের পবিত্র আকসা মসজিদে ইসরায়েলি হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী ও দখলদার বসতি স্থাপনকারীদের গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ২১ জুলাই শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাদের বাধায় যারা মসজিদে প্রবেশ করতে পারেননি তারা রাজপথেই নামাজ আদায় করেছেন। পথগুলো যেন রূপান্তরিত হয়েছে প্রতিরোধের জায়নামাজে। এক পর্যায়ে মসজিদে প্রবেশ করতে না পারা বিক্ষুব্ধ মুসল্লিদের ওপর গুলি ছোঁড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় মোহাম্মদ মাহমুদ শরাফ নামের ১৮ বছরের এক ফিলিস্তিনি তরুণ নিহত হন। পূর্ব জেরুজালেম সংলগ্ন রাস আল আমুদ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

আল-আকসা এলাকার বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে নিহত দ্বিতীয় ব্যক্তি ২০ বছরের মুহাম্মাদ হাসান আবু ঘানাম। নিহত তৃতীয় ব্যক্তি ১৭ বছরের মুহাম্মাদ মাহমুদ খালাফ। তিনি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।

সূত্র: আল-জাজিরা

/এমএইচ/বিএ/