নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে ইরান

তেহরানের বিরুদ্ধে আবারও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, স্যাটেলাইট বহনে সক্ষম ইরানি রকেট ‘সিমোরগ’ পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন অর্থ বিভাগ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। বৃহস্পতিবার ইরান নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি রকেট সিমোরগের সফল পরীক্ষা চালায়।  
আবারও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে তেহরান

আমেরিকা ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকি ‘উস্কানিমূলক’ বলে দাবি করলেও তেহরান বলছে, তার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি সম্পূর্ণ আত্মরক্ষামূলক।

মার্কিন অর্থ বিভাগ বলেছে, ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ‘মূলে’ রয়েছে শহীদ হেম্মাত ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রুপ। নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ছয় ইরানি কোম্পানির সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা ছাড়াও এগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার এক বিবৃতির মধ্য দিয়ে ইরানের 'শহীদ হেম্মাত' ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ছয়টি কোম্পানির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার খবর দেয় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

বৃহস্পতিবার ইরান নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি রকেট সিমোরগের সফল পরীক্ষা চালায়। ইরানি কৃত্রিম উপগ্রহকে কক্ষপথে বহন করে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে এ পরীক্ষা চালানো হয়।  এটি ব্যবহার করে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের কক্ষপথে ৩৫০ কিলোগ্রাম ওজনের উপগ্রহ স্থাপন করা সম্ভব।

বৃহস্পতিবারই ‘সিমোরগের’ পরীক্ষা চালানোর পরপরই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর নিন্দা জানিয়ে বলেছিল, এ পরীক্ষার মাধ্যমে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন নুচিন বলেন, ইরানের অব্যাহত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় ওয়াশিংটন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। ‘দেশটি যেন আর এ ধরনের পরীক্ষা না চালায়’ সেজন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত জানায়।

ইরান বলেছে, দেশটি আন্তর্জাতিক আইন মেনেই নিজের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পরিচালনা করছে। কারও জন্য হুমকি সৃষ্ট করতে নয় বরং সম্পূর্ণ আত্মরক্ষার স্বার্থে এ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে বলে দাবি তেহরানের।

/বিএ/