আল-আকসায় ইসরায়েলি আধিপত্যের প্রতিবাদে ইস্তাম্বুলের রাজপথে বিক্ষোভ

জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে মেটাল ডিটেক্টরসহ নজরদারি ব্যবস্থা বসানোর প্রতিবাদে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের রাজপথে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে নেমেছ। গত বৃহস্পতিবার রাতে আল-আকসা থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও কিছুক্ষণ পরেই আবার তা জোরদার করে ইসরায়েল।

তুরস্কে বিক্ষোভ

সোমবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দ্য বিগ জেরুজালেম মিটিং’ নামে এই র‌্যালি আয়োজন করেছে দেশটির সাদাত পার্টি। আর এতে প্রায় পাঁচ হাজার তুর্কি নাগরিক অংশ নেয়। এসময় তাদের হাতে তুরস্ক ও ফিলিস্তিনের পতাকা ছিলো। তাদের হাতে এক পোস্টারে লেখা ছিলো, ‘আল-আকসা আমাদের গর্ব, আমাদেরঅহংকার।’

সাদেত পার্টির চেয়ারম্যান তেমেল কারামোল্লাগ্লু বলেন, ‘শুধু গাজা নয়, তেল আবিবও তাদের লক্ষ্যবস্তু। নেতানিয়াহুর পরিকল্পনা এমনই।'

মসজিদের প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর বসানোসহ নজরদারি ব্যবস্থার বিরোধী করেছিলের তুরস্ক। দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছিলেন, এমন বিবাদে ইসরায়েল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি জেরুজালেমের ইসলামি পরিবেশ নষ্ট করার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেন।

বৃহস্পতিবার রাত থেকেই মসজিদ প্রাঙ্গনে বিজয় উদযাপন শুরু করেন মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা। সে সময় মসজিদে প্রবেশ করতে গেলে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ১১৩ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। শুক্রবার উত্তাল বিক্ষোভের শঙ্কায় আবারও ৫০ বছরের কম বয়সী মুসলিমদের জন্য মসজিদ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।

এর আগেও ১৪ জুলাই নিরাপত্তার অজুহাতে আল-আকসার প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর বসায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ৫০ বছরের কমবয়সী কাউকেও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ফিলিস্তিনের দাবি, আল-আকসা দখলের পায়তারা হিসেবেই তারা এই ব্যবস্থা নেয়। প্রতিবাদে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে ফিলিস্তিনিরা। ২২ জুলাই জেরুজালেমের পবিত্র আকসা মসজিদে ইসরায়েলি হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী ও দখলদার বসতি স্থাপনকারীদের গুলিতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। 

/এমএইচ/বিএ/