কম্বোডিয়ার কাছ থেকে ১০ লাখ টন চাল কিনছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ কম্বোডিয়ার কাছ থেকে ১০ লাখ টন চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কম্বোডিয়ান সংবাদমাধ্যম খেমার টাইমস সে দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এ খবর জানিয়েছে। বুধবার দুই দেশের মধ্যে এ সংক্রান্ত চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার কথা।
চাল আমদানির ফাইল ছবি

খেমার টাইমস জানিয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছরে এক ট্রিলিয়ন চাল আমদানি করবে বাংলাদেশ। কেবল সুগন্ধী বা সাদা চাল নয়, আমদানির তালিকায় সব ধরনের চালই থাকবে। কম্বোডিয়ান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সোয়েং সোফারি খেমার টাইমসকে বলেন, বুধবার রাজধানী নম পেনে দুই দেশের মন্ত্রণালয় ও প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ সংক্রান্ত চু্ক্তি সই হবে।

চাল উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। গত মে মাসে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, মজুদ বাড়াতে চাল আমদানির পরিমাণ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। বন্যায় দেশীয় উৎপাদন কমে যাওয়ায় আমদানির পরিকল্পনাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। এতে চালের দাম বৃদ্ধির হারে রাশ টানা যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে। রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, দাম নিয়ন্ত্রণে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ভারতের মতো রফতানিকারক দেশগুলোতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন কর্মকর্তারা। এবার ওই ৩ দেশের সঙ্গে কম্বোডিয়ার নামও যুক্ত হলো আমদানির তালিকায়।

দুই দেশের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে কম্বোডিয়ার রাইস ফেডারেশন। নিজেদের দেশের জন্য এই চুক্তিকে ইতিবাচক মনে করছে তারা।

বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন টন চাল উৎপাদন করে। উৎপাদিত চালের অধিকাংশই দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাবারের প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়। তবে এপ্রিলের বন্যার ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মজুদের পরিমাণও ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। ওই বন্যার ফলে দেশে সাত লাখ টন চাল নষ্ট হয়। ফলে বাংলাদেশে চালের দাম বৃদ্ধি এখন রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছে যায়।

ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি বছর চালের প্রধান আমদানিকারক দেশ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে বাংলাদেশ। মার্কিন কৃষি দফতরের ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী, চাল আমদানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ। এরপর থেকে বাংলাদেশ সরকার চাল আমদানি বন্ধ রাখে। তবে বেসরকারি খাতে ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি অব্যাহত রাখেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই আসে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে।

/এমএইচ/বিএ/