উ. কোরিয়ার বিরুদ্ধে অবরোধ জোরদারের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের, জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত আজ

 

উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অবরোধ জোরদারের মার্কিন খসড়া প্রস্তাবের ভবিষ্যত জানা যাবে আজ (শনিবার)। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, এদিন জাতিংসঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটির ওপর ভোটাভুটি হবে। খসড়া মার্কিন প্রস্তাবে নির্দিষ্ট রফতানি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা বলা হয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এটি পাস হলে উত্তর কোরিয়ার বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 উ. কোরীয় অবরোধ

কূটনীতিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে আল জাজিরা জানিয়েছে, প্রস্তাবে উত্তর কোরিয়া থেকে কয়লা, ইস্পাত, আয়রনস্টোন, সিসা ও সামুদ্রিক খাবার রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা বলা হয়েছে, যা উ. কোরিয়ার বিপুল পরিমাণ অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে কঠোর অবরোধ আরোপের ওই মার্কিন প্রস্তাবের ওপর শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় (গ্রিনিচ মান সময় ১৯০০টা) নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। ভোটে প্রস্তাবটি পাস হলে উত্তর কোরিয়া বার্ষিক ১০০ কোটি ডলারের রাজস্ব হারাতে পারে। 

জুলাই মাসের গোড়ার দিকে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো আইসিবিএমের পরীক্ষা চালানো হয়। চলতি বছর সবমিলে উত্তর কোরিয়া ১৭টি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়। কোরিয়ান সেন্ট্রাল এজেন্সিকে উদ্ধৃত করে বিবিসির প্রতিবেদনে সে সময় বলা হয়, ‘উ. কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জন উন নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় গর্ব প্রকাশ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সমস্ত মূল ভূখণ্ডে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতে সক্ষম’। পিয়ংইয়ংয়ের সাম্প্রতিক ওইসব আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএম পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জোরদারের চেষ্টা চলছে। 

আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষাকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি একটি ‘কঠোর সতর্কবার্তা’ হিসেবে দেখে পিয়ংইয়ং। দেশটির নেতা কিম জং উন ক্ষেপণাস্ত্রের সবশেষ পরীক্ষার পর বলেন, এই পরীক্ষার দ্বারা প্রমাণ হয়েছে যে পুরো যুক্তরাষ্ট্র এখন উত্তর কোরিয়ার আওতার মধ্যে রয়েছে। জবাব দিতে, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে মহড়া চালায়। পেন্টাগন সামরিক সক্ষমতাও বাড়িয়েছে কিন্তু একইসাথে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে সংঘর্ষ হলে ব্যাপক বিপর্যয় হবে।   

বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, দেশটি এখনো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক বোমা যুক্ত করার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। তারা বলছেন, পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র নির্ভুলভাবে টার্গেটে আঘাত করতে পারে না। অনেকেই আবার মনে করেন, যে হারে পিয়ংইয়ং এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে তারা যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম এমন পারমাণবিক ওয়ারহেডযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে পারবে।

/বিএ/