ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আল-আকসা মসজিদ থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরির অভিযোগ

ইসরায়েলি দখলদার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে জেরুজালেমের নিজস্ব ও প্রদেয় সম্পত্তি সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি চুরির অভিযোগ উঠেছে। জেরুজালেম ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের চেয়ারম্যান হাসান খাতার দাবি করেছেন গত মাসে  আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করে দেওয়ার সময় মসজিদটি থেকেই নথিগুলো চুরি করা হয়।
আল আকসা মসজিদের সম্মুখে ইসরায়েলি বাহিনী

ফিলিস্তিন.পিএস নামের স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে মধ্যপ্রাচ্যের পর্যবেক্ষণবিষয়ক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই এই খবর জানিয়েছে। হাসান খাতার ওই ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আল-আকসা মসজিদের কক্ষ, লাইব্রেরি, ডকুমেন্টারি আর্কাইভ থেকে ইসরায়েলি দখলদাররা নথিগুলো চুরি করেছে।’

জেরুজালেম ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের চেয়ারম্যানের দাবি, আল-আকসা মসজিদ বন্ধ করার সময় ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে একা অবস্থান করছিল এবং সেই সুযোগে তারা নথিগুলো চুরি করেছে। চুরি হওয়া নথিগুলোর মধ্যে জেরুজালেমের ওল্ড সিটির ৯০ শতাংশেরও বেশি সম্পত্তির ‘বিস্তারিত ও গোপনীয়’ তথ্য ছিল বলেও দাবি করেছেন তিনি। হাসান খাতার বলেন, ‘এ নথিগুলোর মাধ্যমে ইসরায়েলি দখলদাররা জেরুজালেমের ওয়াকফ বিভাগের প্রদেয় সম্পত্তি, নিজস্ব সম্পত্তি এবং রিয়েল এস্টেটের দিকে হাত বাড়াচ্ছে।’

নথি চুরির এই ঘটনাকে ‘সত্যিকারের দুর্যোগ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। খাতারের আশঙ্কা ইসরায়েলি দখলদাররা জেরুজালেমে তাদের জুডাইজেশন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এ নথিগুলোকে ব্যবহার করতে পারে। জুডাইজেশনকে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের মধ্যকার ‘প্রধান যুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণটি একইসঙ্গে মুসলিম ও ইহুদিদের জন্য পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হয়। মুসলিমরা একে আল হারাম আল শরিফ নামে ডেকে থাকেন। আর ইহুদিরা এ স্থানটিকে টেম্পল মাউন্ট বলে থাকে। গত ১৪ জুলাই ফিলিস্তিনি বন্দুকধারীদের সঙ্গে ইসরায়েলি পুলিশের সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর মসজিদ প্রাঙ্গণটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ার পর নতুন করে আবারও উত্তেজনা শুরু হয়।

১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে তখন শুধু মুসলিমরাই আল-আকসায় নামাজ পড়তে পারতো। দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় প্রার্থনার সুযোগ পেত ইহুদিরা। মেনে চলতে হতো অনেক নিয়ম। বিগত ৫০ বছরে এই চিত্র অনেকটাই পাল্টে গেছে। আর ইসরায়েল এখন আল আকসার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

/এফইউ/বিএ/