চীন-ভারতকে সংলাপের মাধ্যমে সংকট নিরসনের তাগিদ যুক্তরাষ্ট্রের

 

সীমান্ত সংকট নিরসনে চীন আর ভারতকে সংলাপের তাগিদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনডিটিভির ওয়েবসাইট থেকে এ কথা জানা গেছে। লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষে দু’পক্ষের সেনা আহত হওয়ার ঘটনার একদিন পরই এ আহ্বান জানান হলো।
ভারত-চীন

পূর্ব হিমালয়ের দোকলাম ইস্যুতে ভারত-চীন উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে পাথর ছোঁড়াছুড়ি ও বাকবিতণ্ডার খবর দিয়েছে চীন এবং ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো। রীতি মেনে প্রতিবার ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চীনা সীমান্তবাহিনী শুভেচ্ছা জানায়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এবার তা হয়নি।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিথার নাউরাট এই প্রেক্ষাপটে বলেছেন, উভয় পক্ষকে সরাসরি আলোচনায় বসতে উৎসাহিত করছি। চীন এবং ভারতের মধ্যে আরেক দফা সংঘর্ষের বিষয়ে মার্কিন ভূমিকা কি হবে জানতে চাওয়া হলে এ কথার জবাব দেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, চীনা গণমুক্তি ফৌজ নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলওসি নামে পরিচিত অভিন্ন সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করলে হাতাহাতি বা সংঘর্ষের সূচনা হয়। তাদের খবর অনুযায়ী এক পর্যায়ে ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে চীনের সেনাবাহিনী৷ পাল্টা জবাব হামলা চালায় ভারতও৷ এরপরে বেশ কিছুক্ষণ দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলে৷ ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের ৭০তম বার্ষিকীর দিনেই লাদাখ সীমান্তে এ সংঘাত ঘটল।

এ বিষয়ে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করে নি। আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায় নি ভারতীয় সেনাবাহিনীরও।

উল্লেখ্য, এমনিতেই দোকলাম নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে যুদ্ধংদেহী অবস্থান। সেখানে চীনা সেনাবাহিনীর একটি রাস্তা নির্মাণে বাধা দেয় ভারতীয় সেনারা। এ নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে সেখানে দু’দেশের সেনারা। চীন বার বার বলছে, দোকলাম থেকে একতরফাভাবে নিজ দেশের সেনাদের প্রত্যাহার করে নিতে হবে ভারতকে। যদি তা করা না হয় তাহলে উত্তেজনা আরো বাড়বে। ওদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া ভারতকে হুঁশিয়ার করে বলা হয়েছে, সীমান্ত ইস্যুতে ১৯৬২ সালে যে যুদ্ধ হয়েছিল তার চেয়ে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে ভারতকে।

লাদাখের ক্ষেত্রেও একই বাস্তবতা। ওই এলাকার মালিকানা দাবি করে আসছে ভারত ও চীন উভয়েই। ফিঙ্গার ফোরে চীন একটি সড়ক নির্মাণ করেছে, যা দুই দেশের সীমারেখা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে। পানগং হৃদের উত্তর ও দক্ষিণ পাড় টহলের জন্য ব্যবহার করে থাকে চীন। এই হৃদের ৪৫ কিলোমিটার পাড় ভারতের এবং ৯০ কিলোমিটার পাড় চীনের মধ্যে পড়েছে। এই হৃদকে কেন্দ্র করে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে প্রায়ই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

/বিএ/