‘বাহরাইন সরকার উৎখাতের চেষ্টা করেছিলো কাতার’

২০১১ সালে কাতার বাহরাইন সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করেছিলো বলে অভিযোগ করেছে বাহরাইন। বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের এক প্রতিবেদনে এমনটা দাবি করা হয়। বলা হয়, রাজপরিবারের প্রধান বিরোধী দলের সঙ্গে মিলিত হয়ে এই বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছিলো কাতার।

_97411685_09d9bd2e-5146-4ded-bc42-fbc60d7f5289


কাতারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হামাদ বিন জসিম আল-থানি ও বাহরাইনের বিরোধী দল ওয়েফাক নেতা আলি সালমানের কথোপকথনের একটি ফুটেজ সম্প্রচার করে ওই টেলিভিশন চ্যানেল। দুজনের আলোচনায় দেখা যায় তারা বিক্ষোভের বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছিলেন।
বাহরাইনের পাবলিক প্রসিকিউটররা এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন। গত ৫ জুন সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসরসহ কয়েকটি দেশ। তাদের অভিযোগ ছিলো কাতার সন্ত্রাসে সমর্থন দেওয়া ইরানের মিত্র। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে কাতার।
বাহরাইনের বার্তা সংস্থা দাবি করে, ফোনালাপে দুই নেতা বাহরাইনের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে একমত হয়েছিলেন। এই ফোনালাপ থেকে জানা যায়, জাতীয় স্বার্থ ক্ষুন্ন করে বিদেশি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করে নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলা হয়েছিলো।
তবে কাতার কিংভা শেখ হামাদের পক্ষ থেকে এখনও কোনও মন্ত্য করা হয়নি। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব ছেড়ে দেন শেখ হামাদ।

৬ বছর আগে এই সুন্নিদের দ্বারা পরিচালিত বাহরাইনে সংখ্যাগরিষ্ঠ শিয়া নেতৃত্ব আসার পর থেকে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। সেই অস্থিরতা সামলাতে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সেনা সমর্থন নিয়েছিলেন বাহরাইন বাদশা। সেই সময় ৩০ জন বেসামরিক ও পাঁচজন পুলিশ নিহত হয়। ২০১৫ সালে শেখ আলি সালমানকে গ্রেফতার করা হয়।

/এমএইচ