ফরেন পলিসি ম্যাগাজিন ও আলজাজিরার খবর

জাতিসংঘের কালো তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে যাচ্ছে সৌদি জোট

জাতিসংঘের আওতায় সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট কালো তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে যাচ্ছে বলে আভাস দিয়েছে কূটনীতি বিষয়ক প্রভাবশালী সাময়িকী ফরেন পলিসি। এদিকে কাতারভিত্তিক আলজাজিরা জানিয়েছে, সৌদি আরবকে বেসামরিক শিশু হত্যার দায়ে কালো তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার কথা ভাবছেন সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতারেজ।
ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছে বহু শিশু


ইয়েমেনের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি জোট। দুই বছর ধরে চলমান এই অভিযানে ইয়েমেনের প্রায় ১২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এদের অধিকাংশই শিশু। আলজাজিরা বলছে, দারিদ্রপীড়িত ইয়েমেনে সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক শিশু হত্যার জন্য সৌদি নেতৃত্বাধীন কথিত আরব জোটকে কালো তালিকাভুক্ত করতে যাচ্ছে জাতিসংঘ।

আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, শিশু অধিকার লঙ্ঘনের দায়ে সৌদি জোটকে কালো তালিকাভুক্ত করার জন্য এরইমধ্যে একটি খসড়া রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে এবং তা জমা দেয়া হয়েছে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্টোনিও গুতেরেসের কাছে। এখন বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

জাতিসংঘের সেই খসড়া নথি

এদিকে ফরেন পলিসির খবরে বলা হয়েছে, আসছে মাসে সৌদি জোটের হামলায় ইয়েমেনে নিহত হওয়া বেসামরিক শিশুদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে জাতিসংঘ। সেই প্রতিবেদনে সৌদি জোটকে কালো তালিকাভূক্ত করার সুপারিশ থাকবে।

ইয়েমেনে নারী ও শিশু হত্যার জন্য গত বছরও সৌদি আরবকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল জাতিসংঘ। কিন্তু পরে রিয়াদ এবং তার পশ্চিমা কয়েকটি মিত্রদেশ জাতিসংঘের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। শেষ পর্যন্ত তালিকা থেকে সৌদি আরবের নাম বাদ দেয়া হয়।
যুদ্ধের বলি ইয়েমেনি শিশু

সৌদি জোট ইয়েমেনের ওপর আড়াই বছর ধরে জল, স্থল ও আকাশপথের অবরোধ দিয়ে রেখেছে। এতে ইয়েমেনের ৭০ লাখ মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছে। সম্প্রতি গ্লোবাল লিকস নামের একটি গ্রুপের ফাঁসকৃত ইমেইল থেকে জানা গেছে, ইয়েমেনে সৌদি জোটের সামরিক আগ্রাসন শুরুর দুই বছর পর এখন এ যুদ্ধ থেকে বের হয়ে আসতে চাইছে দেশটি।

সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধের এক মাস আগে দুই মার্কিন কর্মকর্তার কাছে এমন অবস্থানের কথা জানান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। গ্লোবাল লিকস সে সংক্রান্ত ইমেইল ফাঁস করে দেয়। এতে দেখা যায়, প্রয়োজনে এ ব্যাপারে চিরশত্রু ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায়ও আপত্তি নেই রিয়াদের।

/বিএ/